Advertisement
E-Paper

আপাতত স্বস্তি ৩১৩ শিক্ষকের! পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

আগের শুনানিতে শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, সেই নিয়োগ ছিল বেআইনি। সংশ্লিষ্ট ওই শিক্ষকদের নিয়োগ করেছিল জিটিএ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:২০
হাই কোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে পাহাড়ের ৩১৩ জন শিক্ষক।

হাই কোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে পাহাড়ের ৩১৩ জন শিক্ষক। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১২ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে ৩১৭ জনের চাকরি বাতিল করেছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ।

আগের শুনানিতে চাকরি বাতিল করে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, সেই নিয়োগ ছিল বেআইনি। সংশ্লিষ্ট ওই শিক্ষকদের নিয়োগ করেছিল জিটিএ। সেই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত বুধবার এই মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, জিটিএ-র বৈঠকে রোশন গিরি সকল শিক্ষকের নিয়মিতকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। জিটিএ দাবি করে, তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্ভব ছিল না। তবে আদালত জিটিএ-র ওই যুক্তি খারিজ করে দেয়। আবেদনকারীদের বক্তব্যে মান্যতা দিয়ে আদালত জানায়, ওই একই সময়ে অন্য ক্ষেত্রে নিয়োগ হয়েছে, ফলে ‘অসম্ভব’ বলে জিটিএ যে যুক্তি দিয়েছে তা ভিত্তিহীন।

বিচারপতির বসুর বেঞ্চ জানায়, নিয়মিতকরণের কথা বলা হলেও, তা প্রকৃতপক্ষে ছিল নতুন নিয়োগ। হাই কোর্ট আরও বলে, নতুন নিয়োগ নিয়মিতকরণের আড়ালে করা হয়েছে, তা আইন লঙ্ঘনের শামিল। যে সব জায়গায় নিয়োগ হয়, তা বেসরকারি স্কুল বলে আদালতে দাবি করা হয়েছিল। যদিও আদালত তা মানতে চায়নি। জিটিএ আইনের ৭৩ নম্বর ধারার উল্লেখ করে আদালত জানায় যে, ওই স্কুলগুলি আইন অনুযায়ী পরিচালিত এবং রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও নির্দেশ দেয় আদালত।

জিটিএ আওতাভুক্ত এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগে সিবিআই-কে অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দিতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু সেখানে ধাক্কা খেতে হয় রাজ্য সরকারকে। ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখে। যদিও রাজ্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গবইয়ের বেঞ্চ রাজ্যের যুক্তি মেনে নিয়ে জানিয়েছিল, হাই কোর্ট তাড়াহুড়ো করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। হাই কোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।

Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy