Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Firecrackers

পুলিশি অভিযান, ক্রেতাদের অনিচ্ছা, জোড়া ফলায় শব্দ জব্দ উত্তর ২৪ পরগনায়

রকেট, শেল, চকোলেট বোমা ইত্যাদি তো বটেই, এমনকি আতশবাজি কেনা থেকেও হাত গুটিয়ে নিয়েছেন ক্রেতারা।

উত্তর ২৪ পরগনার বাজারে শব্দবাজির দেখা নেই। নিজস্ব চিত্র

উত্তর ২৪ পরগনার বাজারে শব্দবাজির দেখা নেই। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারাসত শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ১৯:২৪
Share: Save:

এক সময় উৎসবের খবর জানান দিত ঠাস, ঠাস, দ্রুম, দ্রাম শব্দ। উৎসব নয় যেন রণক্ষেত্র! চারদিক গমগম করছে বাজির কানফাটানো আওয়াজ। সঙ্গে আলোর রোশনাই। এত দিন এটাই দস্তুর ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। কিন্তু দীপাবলির আগে লাগাতার পুলিশি অভিযান এবং করোনা সচেতনতা, এই জোড়া ফলায় সেই শব্দ এ বার জব্দ। জেলা জুড়ে রকেট, শেল, চকোলেট বোমা ইত্যাদি তো বটেই, এমনকি আতশবাজি কেনা থেকেও হাত গুটিয়ে নিয়েছেন ক্রেতারা। পুলিশি অভিযানের ভয়ে কাঁপছেন বিক্রেতারাও।

দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ‘বিখ্যাত’ বাজি কারখানার জন্য। অতীতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরি করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফেরেনি। তার পরেও দুর্গাপুজো এবং দীপাবলির সময় সাধারণ মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন শব্দবাজির দাপট।

অন্যান্য বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর সময় পর্যন্ত অনেকেই প্রচুর বাজি কিনতেন। অথচ এ বছর উলটপুরাণ। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় জেলা জু়ড়ে সেই অর্থে বাজির শব্দ শোনা যায়নি এ বার। কেন এ বার পরিস্থিতি আলাদা? কারণটা স্পষ্ট করলেন হৃদয়পুরের বাসিন্দা কাশীনাথ মিত্র। তিনি বললেন, ‘‘সতর্কতার কথা মাথায় রেখেই এ বছর বাজি কিনছি না।’’ বনগাঁর গৃহবধূ সঞ্চারী দে-র বক্তব্য, ‘‘আতশবাজি পোড়াতে ভালই লাগে। কিন্তু এ বছর মনে আনন্দ নেই, তাই বাজি নয়।’’ প্রাণঘাতী হয়েও করোনা যে সচেতনতার পাঠ দিল তা মানলেন দু’জনেই।

আরও পড়ুন: করোনার সময় রোগী দেখে বেতনহীন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা

আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদের জের, মুর্শিদাবাদে মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন

শুধু কি করোনা, রয়েছে ‘পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা’-র ভয়ও। বুধবার হাবড়া, অশোকনগর, দেগঙ্গা, বাগদা, বারাসত এবং দত্তপুকুরের বাজার ঘুরে কোনও বাজির দোকান খোলা পাওয়া যায়নি। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক বাজি ব্যবসায়ী বললেন, ‘‘যে ভাবে পুলিশ এ বার ধরপাকড় করছে, তাতে আর নতুন করে বাজি স্টক করতে চাই না। বেশির ভাগ বাজি ব্যবসায়ীই এখন পুরনো স্টক থেকেই বিক্রি করছেন। নতুন করে বাজি কিনলে আর্থিক ক্ষতির ভয় তো আছেই, রয়েছে মামলার গুঁতোও।’’

বারাসত জেলা পুলিশের সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা ১০টি মামলা করেছি। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও অভিযান চালানো হবে।’’ এ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Firecrackers N 24 Parganas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE