Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

রাজকন্যার বীরত্বে মুগ্ধ অন্ধ্র ও তেলঙ্গানা

তিনি রুদ্রমাদেবী। ত্রয়োদশ শতকের দক্ষিণ ভারতে কাকতীয় বংশের রাজকন্যা। কৈশোরে রাজপুত্রের ছদ্মবেশে থাকতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে, প্রজাপালনে ছিলেন অতুলনীয়া। তাঁর প্রশস্তি লিখে গিয়েছেন ভূপর্যটক মার্কোপোলো।তিনি রুদ্রমাদেবী। ত্রয়োদশ শতকের দক্ষিণ ভারতে কাকতীয় বংশের রাজকন্যা। কৈশোরে রাজপুত্রের ছদ্মবেশে থাকতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে, প্রজাপালনে ছিলেন অতুলনীয়া। তাঁর প্রশস্তি লিখে গিয়েছেন ভূপর্যটক মার্কোপোলো।

ঘোড়ার পিঠে তরবারি হাতে রানি রুদ্রমাদেবী। তাঁর মূর্তিকে দুধ দিয়ে স্নান করাচ্ছেন মহিলারা। ছবি: গেটি ইমেজেস।

ঘোড়ার পিঠে তরবারি হাতে রানি রুদ্রমাদেবী। তাঁর মূর্তিকে দুধ দিয়ে স্নান করাচ্ছেন মহিলারা। ছবি: গেটি ইমেজেস।

চিরশ্রী মজুমদার
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৫০
Share: Save:

দক্ষিণ ভারতে কাকাতাম্মার যত মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, সে সব দেখলেই বোঝা যায়, তিনি মা দুর্গারই রূপবিশেষ। এই মায়ের অনুগ্রহ যে বংশকে রক্ষা করে তা-ই হল কাকতীয় বংশ। তাঁদের আদিপুরুষ ছিলেন রাষ্ট্রকূটদের সেনাধ্যক্ষ। দেবীর আশিসে কপাল রাঙিয়ে দশম শতাব্দীর ছোট ছোট জনপদে ঘোড়া ছুটিয়ে বেড়াতেন কাকতীয় বীররা। নর্মদা ও কৃষ্ণা নদীর মধ্যিখানে যে মালভূমি টুকরো, ১১৬৩ খ্রিস্টাব্দে সেখানে স্বাধীন ভাবে রাজত্ব শুরু করেন এই বংশের প্রথম রাজা প্রথম প্রতাপরুদ্র। চালুক্যদের হারিয়ে নির্দিষ্ট করেন নতুন রাজ্যটির সীমারেখা। তাঁর রাজধানী হয় ওয়ারাগাল্লু। আধুনিক তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল।

প্রতাপরুদ্রের উত্তরসূরিদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত রুদ্রমাদেবী। রাজা গণপতিদেবের বড় মেয়ে। গণপতিদেবের শাসনকালে এ রাজ্যের সীমা বিস্তৃত হয়েছিল গোদাবরী পর্যন্ত। অন্ধ্রের অনেকটাই দখলে এসেছিল। অমনি হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল আশপাশের রাজ্য, বিশেষ করে দেবগিরির যাদবরা। গণপতিদেবের রাজ্য ছারখার করার চক্রান্তে কেবলই সামন্তপ্রভুদের উস্কাতেন তাঁরা। এমনই এক সময়ে, তেরোশো শতকের মাঝামাঝি গণপতিদেবের মেয়ে রুদ্রম্বা-র জন্ম। রাজা বললেন, রুদ্রকালীর অংশে এই মেয়ে পেয়েছি, এরই সৌভাগ্যে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে সাম্রাজ্য। কিন্তু মন্ত্রী, অমাত্যরা সাবধান করলেন, ষড়যন্ত্র চলছে দিকে দিকে। এমন অবস্থায় যদি জানাজানি হয়ে যায় যে এত দিন বাদে উত্তরাধিকারী এসেছে, অথচ সে রাজপুত্র নয়, রাজকন্যা— সিংহাসন দখলে দ্বিগুণ উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়বে শত্রু। আর প্রজারা সহজ মানুষ, তাঁদের কানে কুবুদ্ধির ঘি ঢাললে ঘরেও জ্বলবে অশান্তি।

এর পরেই নাকি রাজা পুত্রিকা যজ্ঞ করে রুদ্রমাদেবীকে পুত্র রূপে গ্রহণ করেন। যে রাজার ঔরসে কোনও পুত্রসন্তান জন্মায়নি, প্রাচীন ভারতীয় রীতিতে তাঁদের এই গুপ্তপূজার চল ছিল। যজ্ঞ শেষে মুনিঋষিরা রাজার মেয়েকেই ছেলে হিসেবে মেনে নেওয়ার অনুমতি দিতেন। তাকে রাজ্য চালানোর উপযুক্ত করে তোলা হত। এই কন্যার পুত্রসন্তান হলে তাকে দত্তক নিতেন রাজা। এই পুত্রিকাপুত্র মাতামহ বংশের হয়ে রাজ্যশাসন করতেন।

অলিন্দে এসে রাজা ঘোষণা করলেন, দেবতার আশীর্বাদে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এসেছেন পৃথিবীতে। কাপড়ে জড়ানো এক শিশুকে প্রজাদের সামনে তুলে ধরে বললেন, ‘‘ইনি রাজকুমার রুদ্রদেব।’’ প্রজার হর্ষধ্বনিতে স্থিতি ও শান্তি ফিরে এল রাজ্যে।

জীবনের প্রথম দশ বছর পর্যন্ত স্বয়ং রুদ্রম্বাও জানতেন না যে তিনি মেয়ে। তাঁর পোশাক পরিবর্তন হত একমাত্র তাঁর গর্ভধারিণীর তত্ত্বাবধানে। চুড়ো করে চুল বেঁধে, শক্ত বর্ম-আঁটা যোদ্ধৃবেশ পরাতেন তাঁকে রাজমহিষী। স্নানের সময় অঙ্গমার্জনা করতেন নিজহস্তে। সতর্ক থাকতেন, যেন জলের মুকুরেও নিজেকে দেখতে না পান রাজনন্দিনী। শরীরে কেমন করে রূপ-লাবণ্য পাপড়ি মেলছে, সে দিকে তাকানোর রুদ্রম্বারই বা ফুরসত কোথায়? রাত দিন ঘোড়া, হাতিকে বশ মানানো, তলোয়ার চালানো শিখছিলেন। পাঁচ বছর বয়সের পর একটি তিরও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি তাঁর, এমনটাই লেখা অনুমাকোন্ডার পাথরে। কূটনীতিতেও অসাধারণ দক্ষতা লাভ করেন তিনি। রাজ্যশাসনের প্রতিটি পর্বে রাজা তাঁর পরামর্শ নিতে শুরু করেন।

রাজকুমার রুদ্রদেবের ভালবাসায় বশ হয়েছিল প্রজারাও। কোথাও কোনও দীনদরিদ্রকে এতটুকু পীড়ন করলে অত্যাচারীর হাতে এসে বিঁধে যেত কাকতীয় বংশের মুকুটের মতো দেখতে তিরের ফলা। স্তম্ভিত মানুষটি দেখত, দূরে পাথরের মাথায় ঘোড়ার পিঠে রাজকুমার। রাগত ভঙ্গি, কিন্তু বড় রমণীয় মুখশোভা। মুহূর্তে দোষীকে ঘিরে ধরত রাজসেনা। ফেলে দিয়ে আসত অন্ধকুঠুরিতে। সে সময় হয়তো পরম স্নেহে রাজপুত্র রুদ্রদেব পরিচর্যা করছেন রাজমহলের পশুপাখিদের।

অচিরেই ধন্দ হল শত্রুশিবিরের। কাকতীয়দের ছেলেটি কেমন যেন মেয়েলি! রটনায় নড়ে বসল রাজপরিবারের দুর্জনেরাও। গণপতিদেব অপুত্রক সাব্যস্ত হলে যে রাজদণ্ড আসার কথা তাঁদের মুঠোয়! তলে তলে জড়ো হল সব। রাজার ভ্রাতুষ্পুত্র হরিহর দেব ও মুরারী দেব চর লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন, ভাই নয়, এ আসলে বোন। দুই ভাই পৌঁছলেন প্রতিবেশী দেবগিরি রাজ্যে। জানালেন, যুদ্ধ ঘোষণা করতে চান। সাহায্য প্রয়োজন।

রুদ্রম্বা তখন বয়ঃসন্ধিতে। কত দিনই বা তাঁর নারীত্ব লুকিয়ে রাখবেন মহারাজ! শত্রুরা তাঁকে প্রজাদের সামনে মিথ্যাবাদী চাউর করার আগেই মেয়েকে নিয়ে এক দিন ভরা দরবারে এলেন রাজা। সে দিনই প্রথম জনসমক্ষে নারীরূপে রুদ্রমাদেবী। মহারাজা ঘোষণা করলেন, রুদ্রদেব নামে কোনও রাজপুত্রের নয়, রুদ্রমাদেবী নামের এক অনন্যসাধারণ মেয়ের পিতা হয়ে তিনি গর্বিত। এই মেয়ে শুধু নিজেকে কেন, সারা রাজ্যকে রক্ষা করতে সমর্থ। তাই আজ থেকে পিতা-পুত্রী মিলে শাসন করবেন নগরী। পাশাপাশি সিংহাসনে বসবেন। শীঘ্রই নিদাদাভোলুর বন্ধু-রাজার ছেলে বীরভদ্রের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হবেন রাজকুমারী। দরবার ভঙ্গ হল। খবর এল, ভগ্নমনোরথ হয়েছে দেবগিরি।

তবু বিষনজরের অন্ত নেই। সকলেরই ধারণা, একটা মেয়েরই তো রাজ্য, সুযোগ বুঝে কেড়ে নিলেই হয়! এই অবস্থায় যে ছেলেটির প্রতি অগাধ আস্থা ছিল মহারাজের, সে কোনও কাজে এল না। সর্বগুণময়ী রূপবতী স্ত্রীর কাছে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করলেন তরুণ বীরভদ্র। দিকে দিকে শুধু রানিমার জয়জয়কার। তিনি কেবলই স্ত্রীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান। রুদ্রমার বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। তিনি নিজেকে সঁপে দিলেন রাজ্যশাসনে। এই সময়েই বিশাল বাহিনী নিয়ে কাকতীয়দের আক্রমণ করেন পাণ্ড্যরাজ জাতবর্মা সুন্দর। নেল্লোরের কাছে তাঁর সেনার সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে কাকতীয় হাতি। তখনই রণক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন রুদ্রমাদেবী। মূলত তাঁর বীরত্বে ও কৌশলে ক্রমে শত্রুমুক্ত হয় ওয়ারাঙ্গল। যদিও রাজত্বের কিছুটা খোয়ান গণপতিদেব। এর পরই রাজ্যের সর্বময়ী কর্ত্রী ঘোষণা করেন রুদ্রমাদেবীকে।

কয়েক বছর পরেই, মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে স্বামী ও পিতাকে হারান রানি। শোকে আকুল হয়ে তিনি নাকি প্রায়োপবেশনে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু কেঁদে ওঠে গোটা রাজ্য। প্রজাদের মুখ চেয়ে উঠে বসেন রুদ্রমা। তিনি ভেঙে পড়েছেন ধরে নিয়ে ফের ফোঁস করে ওঠে দেবগিরির যাদবরা। তাঁদের প্ররোচনায় রাজ্যের সীমানায় একের পর এক সামন্তরাজারা বিদ্রোহ করতে থাকেন। যাদব বংশের রাজা মহাদেব রানির দুই ভাই হরিহর-মুরারীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে হানা দিলেন রাজ্যে। এক দিকে ঘরশত্রু সীমান্তরাজারা, অন্য দিকে দুয়ার ধাক্কাচ্ছে কূট যাদবকুল। দুই সমস্যাই একই সঙ্গে দমন করেন তিনি। এ সময়েই রানির পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর ভগ্নিপতি, বীর সেনাপতি গোনা গন্না রেড্ডি। গোনা গন্নার পিতা লেখক, বোন কবি। তাঁর যুদ্ধকলাও ছিল ভারী অভিনব। চমৎকার সব খেলায় মাত করতেন বিপক্ষকে। সেই সব অচেনা নীতি প্রয়োগ করে প্রায় সমস্ত সামন্তপ্রভুকে ফের কাকতীয়দের ছাতার তলায় নিয়ে আসেন রেড্ডিনায়ক। অন্য দিকে রানিমা রাজ্যের সীমানায় দুর্দান্ত লড়ে একেবারে গোদাবরী পার করিয়ে দিয়ে আসেন যাদব জোটকে। নির্বাসন দেন দুই জ্ঞাতিভাইকে।

রানি প্রায় তেরোশো শতকের শেষ পর্যন্ত রাজ্য সামলেছিলেন। অনেকটা সময়ই যুদ্ধ-বিগ্রহে, বিদ্রোহদমনে কেটেছিল তাঁর। তবু প্রজাপালনে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। চারুশাস্ত্রেও ছিল অসামান্য দখল। ‘শিবতাণ্ডবম’ নৃত্যশৈলী ব্যবহার করে সেনাবাহিনীকে তিনি চিতার মতো ক্ষিপ্র করে তোলেন। ছবির মতো সুন্দর ওয়ারাঙ্গল দুর্গটি তাঁরই কীর্তি। একেশ্বর মহাপ্রভু, ভদ্রকালী, পদ্মাক্ষীদেবীর মন্দির তৈরি করেন রাজ্য জুড়ে। সেখানে সকাল-বিকেল পাত পড়ত দুঃস্থ মানুষের। সেবায় নিয়োজিত থাকত বৈদ্য-কবিরাজের দল। চাষের জমিতে জল দেওয়া, পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে অগুনতি সায়র কেটেছিলেন রানি। এক অনুরোধেই মকুব করে দিতেন প্রজার কর। তিনি কেমন কৃতিত্বের সঙ্গে রাজধর্ম পালন করেছিলেন, সে কথা লিখে গিয়েছেন মার্কোপোলো। ভেনিসের এই ভূপর্যটক রুদ্রমাদেবীর শাসনকালেই কাকতীয় সাম্রাজ্যে এসেছিলেন। তাঁর কলমে শুধুই রানির প্রশস্তি।

পরবর্তী কালের রাজিয়া সুলতানা, দুর্গাবতী, চিন্নাম্মা বা ঝাঁসির রানির মতো লৌহমানবীদের প্রেরণা ছিলেন দাক্ষিণাত্যের এই মহীয়সী। শাসনকালের শেষ দিকে তিনি যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করেন দৌহিত্র দ্বিতীয় প্রতাপরুদ্রদেবকে। তবু বিশ্রাম মেলেনি। তাঁর ললাটে কেবলই তরবারির ঝঙ্কার, মত্ত হস্তির বৃংহতি। আশির কাছাকাছি বয়সেও রথ সাজিয়ে যুদ্ধে যেতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁরই অধীনস্থ নেল্লোরের কায়স্থরাজা অম্বাদেব হঠাৎ রানির বশ্যতা অস্বীকার করে রাজধানীর ওপর হামলা করেন। রানি ও যুবরাজ প্রতাপরুদ্র স্থির করেন, তিন ধাপে এই বিদ্রোহীকে সামাল দেবেন। প্রথম পর্বের যুদ্ধে সেনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং মহারানি। সেখানেই মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাঁকে। কী ভাবে, তা নিয়ে সংশয় অনেক। তবে সম্প্রতি ত্রিকূট মন্দিরাঞ্চলে পাওয়া গিয়েছে সে কালের ভাস্কর্য। তাতে মূল ঘটনার আভাস মেলে। পাথরে খোদাই রুদ্রমাদেবীর প্রতিকৃতি। স্থান চান্ডুপাটলার ময়দান, রানি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তরোয়াল উঁচিয়ে। তবু, শরীরে ক্লান্তি, মুখে বিষাদের ছাপ। কাছেই দাঁড়িয়ে একটি বিরাট ষাঁড়। মৃত্যুরাজ যমের বাহন। এই শিলাছবির অর্থ ‘বীরস্বর্গম’। ঘোড়ার পিঠেই স্বর্গে গিয়েছেন রানিমা।

এই যুদ্ধের পরের পর্বেই নতুন রাজা দ্বিতীয় রুদ্রদেব অম্বাদেবকে এমন শায়েস্তা করেন, জীবদ্দশায় সে আর কাকতীয় সাম্রাজ্যের ওপর লোভ করেনি। কিন্তু রানির প্রাণশক্তি নিংড়ে গড়া কাকতীয় রাজ্যকে বেশি দিন রক্ষা করতে পারেননি তিনিও। কারণ, সময়টা ১৩১০ খ্রিস্টাব্দ। ভারতে এসেছেন মালিক কাফুর। তাঁর শলায় রাজ্যটির সম্পদে নজর দিলেন স্বয়ং আলাউদ্দিন খিলজি। ব্যস! কাকতীয় সাম্রাজ্য ঢুকে গেল দিল্লীশ্বরের বিশাল হাঁয়ে। কিন্তু আঁধার এল না এই দেবী মায়ের সোনার স্মরণে। আজও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানার মন্দিরে, রাস্তার বাঁকে। সর্বত্র বিশালাকার মূর্তিতে পূজ্য তিনি। তাঁকে বড় যত্নে লুকিয়ে রেখেছে ওয়ারাঙ্গলের বড় পাথর ও ঝুরো মাটি। যেখানে খেটে খাওয়া মানুষ ভরদুপুরে পুরনো পাথরকাটা পুকুরের এক আঁজলা মিঠা জল খেয়ে কপালে হাত তোলে। অস্ফুটে বলে, ‘‘রানি মা! রুদ্রম্মা!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rudrama Devi রুদ্রমাদেবী
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE