উৎসবের মরসুমে ১৭ সিরিজ়ের আইফোন বাজারে এনেছে অ্যাপ্ল। সেগুলিতে কী কী নতুন ফিচার রয়েছে, তা নিয়ে আমজনতার মধ্যে বাড়ছে কৌতূহল। এই আবহে সকলের নজর কেড়েছে আইফোন এয়ার। মার্কিন টেক জায়ান্টটির মুঠোবন্দি এই ডিভাইসটি ১৭ সিরিজ়ের অন্য ফোনগুলির চেয়ে কতটা আলাদা? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
আইফোন এয়ারের লুক নিয়ে মাতামাতি হলেও অ্যাপ্লের এই ডিভাইসটি গ্যাজেট বিশেষজ্ঞদের বিশেষ মন ভরাতে পারেনি। তাঁদের অভিযোগ, গুগ্ল পিক্সল ফোনের নকশা হুবহু নকল করেছে এই মার্কিন টেক জায়ান্ট। আইফোন এয়ারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর মেদহীন দেহ। সেটাও স্যামসাং এজ স্মার্টফোনটি থেকে অনুপ্রাণিত, বলছেন গ্যাজেট বিশ্লেষকেরা।
রোগা চেহারার আইফোন এয়ার কোনও কারণে হাত থেকে পড়ে গেলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ব্যাটারিও দীর্ঘ সময় চলবে, এমনটা নয়। ফোনটিতে ক্যামেরা আছে মাত্র একটি। তার উপর এর দাম বেশ চড়া। আইফোন এয়ারের বেস ভ্যারিয়েন্ট কিনতে গ্রাহককে দিতে হবে ১.৩০ লক্ষ টাকা। দর এতটা বেশি হওয়ায় অ্যাপ্লের এই মুঠোবন্দি ডিভাইসটি বাজারে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
আইফোন এয়ারের দামে গ্রাহক একটি গুগ্ল পিক্সল এবং একটি স্যামসাং এজ স্মার্টফোন একসঙ্গে কিনতে পারবেন। অ্যাপ্লের ফোনটিতে অবশ্য টাইটানিয়াম ফ্রম রয়েছে। ফলে স্মার্টলুকের দিক থেকে সংশ্লিষ্ট মুঠোবন্দি ডিভাইসটিকে অন্য ফোনগুলির চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। পাশাপাশি দুর্দান্ত ডিসপ্লে এবং স্ট্যাটাস সিম্বল অ্যাপ্লের লোগোও ফোনটির সঙ্গে পাবেন গ্রাহক।
গ্যাজেট বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, আইফোন এয়ারকে চালু রাখতে দিনে অন্তত দু’বার চার্জ দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ফোনটি বাজারে আনার সময় ব্যাটারির ব্যাপারে সে ভাবে কিছু জানায়নি নির্মাণকারী মার্কিন টেক জায়ান্ট। অ্যাপ্লের তরফে শুধু বলা হয়েছে, ব্যাটারির যা শক্তি তাতে এক বার চার্জে অন্তত এক দিন চলবে আইফোন এয়ার। কিন্তু সেই সঙ্গে একটি তারবিহীন চার্জারও কেনার পরামর্শ দিয়েছে তারা। ফলে ব্যাটারির ব্যাপারে সংস্থাটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।