E-Paper

কাশ্মীরে জি২০ বৈঠকে আপত্তি চিনের, পাল্টা বার্তা দিল্লিরও

কাশ্মীর নিয়ে চিনের মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়ে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দু’দেশের স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা থাকা জরুরি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ০৮:৫২
An image of Kashmir Armies

শ্রীনগরে জি২০ বৈঠকের আগে শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের আটটি জেলায় তল্লাশি চালাল এনআইএ। ছবি: পিটিআই।

‘বিতর্কিত’ কাশ্মীর ভূখণ্ডে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পর্যটনমন্ত্রীদের আসন্ন বৈঠকে যোগ দেবে না চিন। আগামী ২২ থেকে ২৪ মে কাশ্মীরের শের-ই-কাশ্মীর কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘কোনও বিতর্কিত জায়গায় জি২০ বৈঠকের আয়োজন করার সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতা করছে চিন।’’ চিনের এই মন্তব্যের পরেই কড়া ভাষায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে, নিজের দেশের মধ্যে কোথায় সম্মেলন হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারত সরকার। এ ব্যাপারে অন্য কোনও দেশের পরামর্শ মানা হবে না।

কাশ্মীর নিয়ে চিনের ওই মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়ে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দু’দেশের স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা থাকা জরুরি। ২০১৯-এর অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ার পর থেকে ভারতের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা একসুরেই করেছে চিন ও পাকিস্তান। জবাবে দিল্লি বরাবরই জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ফলে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান বা চিনের মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না। তার পরেও অবশ্য দু’দেশই নানা সময় এ নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। ৩৭০ রদ হওয়ার পরে কাশ্মীরে এটাই আন্তর্জাতিক স্তরের সবথেকে বড় সম্মেলন হতে চলেছে। আর তা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। আর ‘বন্ধু’ দেশ হিসেবে আগাগোড়াই তাদের সমর্থন করে ভারত-বিরোধিতা জারি রেখেছে চিন। তারই অঙ্গ হিসেবে কাশ্মীরে জি২০ বৈঠকে যোগ দেবে না চিন। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে অংশ নেবে না পাকিস্তানের আরও এক মিত্র দেশ তুরস্কও। এমনকি দিল্লির অস্বস্তি বাড়িয়ে সৌদি আরবও এখনও পর্যন্ত তাদের নাম নথিভুক্ত করেনি। এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ষাটের বেশি প্রতিনিধি যোগ দিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।

জি২০ সম্মেলনের মধ্যেই উপত্যকায় বড় মাপের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকায় বৈঠকের আগেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাশ্মীরকে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক একাধিক অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্ক দিল্লি। গোয়েন্দাদের অনুমান, সম্মেলন চালাকালীন হামলা করে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে বিব্রত করতে মরিয়া পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এই পরিস্থিতিতে উপত্যকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

G20 Summit 2023 China Kashmir

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy