Advertisement
E-Paper

হাত বেঁধে খালে ছুড়ে দেন বাবা, দু’মাস পর ‘বেঁচে ফিরল’ পঞ্জাবের সেই কিশোরী! দাবি: বাবা নির্দোষ, আসল দোষী আমার মা

ঘটনাটি ঘটে গত ৩ অক্টোবর। অভিযোগ, কিশোরী মেয়ের চরিত্র নিয়ে সন্দেহের বশে তার হাত বেঁধে রাজস্থানের এক খালে ফেলে দেন সুরজিৎ সিংহ নামে এক ব্যক্তি। পুরো ঘটনাটির ভিডিয়ো করে পোস্ট করেন সুরজিৎ নিজেই। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২৬

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

প্রেমে আপত্তির জেরে দু’মাস আগে ১৭ বছর বয়সি কন্যাকে হাত বেঁধে জলে ফেলে দিয়েছিলেন বাবা। তার পর আর খোঁজ মেলেনি তার। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। জেলও হয়েছিল অভিযুক্ত বাবার। কিন্তু দু’মাস পর আচমকা ‘বেঁচে উঠল’ পঞ্জাবের ফিরোজ়পুরের সেই কিশোরী! শুধু তা-ই নয়, সটান পুলিশে গিয়ে বলল, বাবা নির্দোষ, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক।

ঘটনাটি ঘটে গত ৩ অক্টোবর। অভিযোগ, কিশোরী মেয়ের চরিত্র নিয়ে সন্দেহের বশে তার হাত বেঁধে রাজস্থানের এক খালে ফেলে দেন সুরজিৎ সিংহ নামে এক ব্যক্তি। পুরো ঘটনাটির ভিডিয়ো করে পোস্ট করেন সুরজিৎ নিজেই। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়। পরে কিশোরীর খোঁজে খালে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মেলেনি দেহও। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর পরই সুরজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গোল বাধে সম্প্রতি। দিন কয়েক আগে একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেয় ওই কিশোরী। সেখানে সে দাবি করে, তার বাবা নির্দোষ। বরং আসল দোষী মা-ই। তাঁরই প্ররোচনায় মেয়েকে জমে ফেলে দিয়েছিলেন বাবা। পুলিশের কাছে বাবাকে মুক্তি দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে ওই কিশোরী। এই ঘটনার পরেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও, কী ভাবে ওই কিশোরী খাল থেকে উঠে এসেছিল, গত দু’মাস ধরে সে কোথায় লুকিয়েছিল, সে সব কিছুই জানা যায়নি। ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ফিরোজ়পুরের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) ভূপেন্দ্র সিংহ সিধু বলেন, ‘‘পুলিশ দু’মাস আগের ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করবে এবং মেয়েটির বক্তব্য রেকর্ড করবে। তার পরেই পদক্ষেপ করা হবে।’’

Punjab father arrested
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy