ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। পুজো একেবারে দোরগোড়ায়। তার আগেই অবশ্য মহালয়া। শনি-রবি ছুটি। তার সঙ্গে শুক্রবার অথবা সোমবার যদি জুড়ে ফেলতে পারেন তিন দিনেই দারুণ সফর হবে। খুব দূরেও নয়, আবার এক্কেবারে কাছেও নয়। চারচাকাকে সঙ্গী করে বেড়িয়ে পড়ুন ঘরের কাছের না-দেখা জায়গাগুলি ঘুরে নিতে। তালিকায় থাক মুর্শিদাবাদ, মালদহ, মলুটি।
নবাব সিরাজউদদৌল্লার ইতিহাস ছড়িয়ে মুর্শিদাবাদে। নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী এই জেলা। কলকাতা থেকে ব্যান্ডেল হয়ে গঙ্গার উপরের সেতু পেরিয়ে কল্যাণী দিয়েও যাওয়া যায়। আবার বরাহনগর, খড়দহ বা দমদম ক্যান্টনমেন্ট হয়েও গাড়ি ছোটাতে পারেন।
সড়কপথে সঙ্গ দেবে কাশফুল আবার সবুজ ধান। দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে। মসৃণ পথে শরতের পেঁজা মেঘ দেখতে দেখতে কখনও জমে উঠুক গল্প। কখনও মনের মতো গান শুনতে শুনতে গাড়ি ছোটান আপন খেয়ালে। গন্তব্যে পৌঁছনোর চেয়েও চারচাকায় সফরের মজা হল, প্রতিটি মুহূর্ত নিজের মতো উপভোগ করা যায়।
বহরমপুরের পথে
কলকাতা থেকে বহরমপুর যেতে হলে পড়বে ফুলিয়া, বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য। দুই জায়গাতেই দর্শনীয় স্থান আছে। তবে বহরমপুর ঘুরে দেখতে হলে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাওয়াই ভাল।
বেথুয়া থেকে পলাশি ২৯ কিলোমিটার।পলাশি বাজার পেরিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে বাঁহাতি পথ চলে গিয়েছে পলাশির সেই ‘প্রান্তর’ ছুঁয়ে ভাগীরথীর ঘাটে। জাতীয় সড়ক থেকে পলাশির আম্রকানন ৩ কিমি। ব্রিটিশ বিজয়ের সাক্ষ্য হিসাবে এখানে রয়েছে একটি স্মারক স্তম্ভ, ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে তৈরি। স্মারকের সামনেই সিরাজের আবক্ষ মূর্তি।
পথের পাশে আর একটি স্মারকে স্মরণ করা হয়েছে সিরাজ, মীরমদন আর মদনলালকে। বিজয়স্মারকের কিছুটা দূরে সেই জায়গা, যেখানে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন যুদ্ধ করতে করতে প্রাণ দিয়েছিলেন মীরমদন, নওবে সিং হজারি আর বাহাদুর আলি খান। সেই আত্মত্যাগের স্মরণে এখানেও বসানো হয়েছে স্মারক ১৯৭২-৭৩ সালে। আম্রকানন আজ উধাও, ভাগীরথী দূরে সরে গিয়েছে, চার দিকে অযত্ন, অবহেলার চিহ্ন।
এখান থেকে বহরমপুরের দূরত্ব ৩৯ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে সরাসরি বহরমপুর এলে দূরত্ব পড়ে ২০৩ কিলোমিটার।মুর্শিদাবাদ রেলস্টেশন থেকে আড়াই কিমি এবং বহরমপুর টুরিস্ট লজ থেকে ১৪ কিমি দূরে লালবাগে মুর্শিদাবাদের অন্যতম আকর্ষণ হাজারদুয়ারি। অতীতের নিজ়ামত কেল্লায় ১৮৩৭ সালে তদানীন্তন নবাব নাজ়িম হুমায়ুন জাহের বাসের জন্য ব্রিটিশরা ইতালিয়ান শৈলীতে গড়েছিলেন এই ত্রিতল গম্বুজওয়ালা প্রাসাদ। ৮টি গ্যালারি সহ ১২০ ঘরের এই প্রাসাদের ১০০০ দরজা থেকে এর নাম হয়েছে হাজারদুয়ারি। তবে প্রকৃত দরজা ৯০০, বাকি ১০০ কৃত্রিম।
বহরমপুরের কাটরা মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাসাদের সামনেই সিরাজের তৈরি এক গম্বুজের মদিনা মসজিদ আর মদিনার চত্বরে সুউচ্চ ঘড়িঘর। এখানেই রয়েছে বাচ্চাওয়ালি কামান। প্রাসাদের বিপরীতে বড় ইমাম্বরা। হাজারদুয়ারির পিছনে দক্ষিণে যেতে গঙ্গার তীরে অতিথিনিবাস ওয়াসেফ মঞ্জিল।
হাজারদুয়ারি থেকে ৩ কিমি দূরে নসীপুরে জগৎশেঠের বাড়ি। কাছেই কাঠগোলা বাগান। অনতিদূরেই ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে প্রজা উৎপীড়নে কুখ্যাত কীর্তিচাঁদ তথা দেবী সিংহের প্রাসাদ, নসীপুর রাজপ্রাসাদ, যা হাজারদুয়ারির ক্ষুদ্র সংস্করণ।
কিছুটা দূরে জাফরাগঞ্জ দেউড়ি তথা ‘নিমকহারাম দেউড়ি’– আলিবর্দির ভগিনীপতি মিরজাফরের প্রাসাদ আজ ভগ্নপ্রায়। চত্বরে রয়েছে ব্রিটিশের কাছ থেকে ভেট পাওয়া মিরজাফরের দু’টি কামান।
হাজারদুয়ারি থেকে দেড় কিমি উত্তরে, নিমকহারাম দেউড়ির মধ্যেই জাফরাগঞ্জ সমাধিক্ষেত্র— মিরজাফর ও তাঁর বংশধরদের সমাধি। অদুরে মুর্শিদকুলির কন্যা আজ়িমউন্নিসার সমাধি।
আরও পড়ুন:
অদূরেই কাটরায় রয়েছে কদম শরীফ। ১৭৮২ সালে তৈরি এই মসজিদের গঠনশৈলী দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কাছাকাছি বিনোদন মহল হুমায়ুন মঞ্জিল। এই কাটরাতেই রয়েছে কাটরা মসজিদ। মক্কার কাবা শরিফের অনুকরণে মুর্শিদকুলি খাঁ এটি তৈরি করিয়েছিলেন। কাটরা থেকে ১ কিমি দূরে তোপখানা। এখানেই রয়েছে জাহানকোষা অর্থাৎ বিশ্বজয়ী কামান।
হাজারদুয়ারি থেকে ২ কিমি দূরে সদরঘাটে ভাগীরথী পেরিয়ে ১ কিলোমিটার মতো গেলে খোশবাগ। নবাব পরিবারের সমাধিক্ষেত্র। বহরমপুর থেকে সড়কপথেও আসা যায়, দূরত্ব ১২ কিমি। খোশবাগে নবাব আলিবর্দি, সিরাজ, বেগম লুৎ-ফা-উন্নেসা ও আরও অনেকের কবর রয়েছে। অদূরেই মরাঠি বর্গী নেতা ভাস্কর পণ্ডিতের তৈরি শ্বেতপাথরের শিবমন্দির।
হাজারদুয়ারি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মোতিঝিল, এককালে ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ। সে সব যদিও ভগ্নপ্রায়। এখানেই রয়েছে ৭৫০ বিঘার বিশাল ঝিল। পাশেই পর্যটক বিনোদনের জন্য তৈরি হয়েছে ৩৩ বিঘার মোতিঝিল পার্ক।
বহরমপুর আর মুর্শিদাবাদের মধ্যে পড়ে কাশিমবাজার। এখানে দেখে নেওয়া যায় মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর কাশিমবাজার রাজবাড়ি। ঠাকুরদালান ও লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের শৈলীতে অভিনবত্ব আজও নজর কাড়ে।
তবে এক দিনে এত সব দেখা সম্ভব না হলেও অন্তত হাজারদুয়ারি, মদিনা মসজিদ, বড় ইমামবাড়া, নসীপুর রাজপ্রাসাদ, জাফরাগঞ্জ সমাধিক্ষেত্র, আজিমউন্নিসার সমাধি, কাটরা মসজিদ, জাহানকোষা, খোশবাগ, মোতিঝিল, কাশিমবাজার রাজবাড়ি দেখে নেওয়া যেতে পারে। চাইলে প্রথম দিন বহরমপুরে থেকে খোসবাগ ছাড়া সব দেখে নিতে পারেন। দ্বিতীয় দিন মালদহ যাওয়ার পথে দেখে নিন খোসবাগ এবং আরও কিছু দর্শনীয় স্থান।
মালদহ চলনু দ্বিতীয় দিনে
দ্বিতীয় দিনে মালদহ যাওয়ার সময়ে প্রথমে দেখে নিন খোশবাগ। দূরত্ব ১১ কিমি। এবার চলুন আজিমগঞ্জ, খোশবাগ থেকে ১০ কিমি (তবে খোশবাগ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কিরীটেশ্বরী মন্দির ঘুরে যেতে পারেন। মুর্শিদাবাদের প্রাচীনতম মন্দির – এখানে সতীর কিরীট তথা মুকুট পড়েছিল বলে কাহিনি প্রচলিত রয়েছে, তাই সতীপীঠ, তবে অনেকে 'উপপীঠ'ও বলেন, কিরীটেশ্বরী মন্দির থেকে ১০ কিমি আজিমগঞ্জ)।
আজিমগঞ্জের বড়নগরে দেখুন নাটোরের রানী ভবানীর তৈরি মন্দিররাজি। গঙ্গার তীরে। পোড়ামাটির ডজনখানেক মন্দিরের টেম্পল কমপ্লেক্স। বড়নগরকে বলা হত 'বাংলার কাশী'।
দর্শন সেরে চলুন মালদহে, দূরত্ব ১২৬ কিমি। বহরমপুর থেকে সব দর্শন করে মোট দূরত্ব পড়ল ১৫৩ কিমি। আর বহরমপুর থেকে সরাসরি মালদহে এলে দূরত্ব পড়ে ১৩২ কিমি।
মালদহের দর্শনীয় স্থান গৌড় ও পাণ্ডুয়া
মালদহ থেকে জাতীয় সড়ক ধরে ফরাক্কার মহদীপুরের পথে চলুন। এখান থেকে ডান দিকে আরও ৩ কিমি যেতে গৌড়ের অতীত রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ। গৌড় দর্শনার্থীদের প্রথম দ্রষ্টব্য পিয়াস বাড়ি। বাড়ি আজ ধ্বংস হয়ে গেলেও ৩৩ একরের পিয়াস বারি দিঘিটি দেখার মতো।
ঘুরে নিন গৌড়। ছবি: সংগৃহীত।
পিয়াস বারি থেকে ডানে গেলে রামকেলি। বৃন্দাবন যাওয়ার পথে শ্রীচৈতন্য এসেছিলেন এখানে। তমালতলের ছোট মন্দিরে পাথরের উপর তাঁর পদচিহ্ন রয়েছে। এখানেই তমালতলে শ্রীচৈতন্যের কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন হুসেন শাহের দুই মন্ত্রী সাকর মল্লিক তথা রূপ গোস্বামী এবং দবির খাঁ তথা সনাতন গোস্বামী। মদনমোহনের মন্দিরও গড়েন তাঁরা। এখন যে মন্দির আছে, তা নতুন, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে তৈরি। মন্দিরের ডাইনে-বাঁয়ে ৮টি কুণ্ড আছে। রামকেলিকে 'গুপ্ত বৃন্দাবন'ও বলা হয়।
রামকেলি থেকে আধ কিমি দক্ষিণে পাঁচশো বছরের পুরনো বারোদুয়ারি মসজিদ। এই মসজিদের গম্বুজের সোনালি চিকন কাজের জন্য একে সোনা মসজিদ আর আকারে বড় বলে বড়সোনা মসজিদও বলা হয়।
কাছেই উত্তরমুখী দাখিল দরওয়াজা। এক কালের প্রাসাদের মূল প্রবেশপথ। এর নির্মাণ ও অলঙ্করণ শৈলী অসাধারণ।
দাখিল দরওয়াজা থেকে ১ কিমি দূরে পাঁচ তলার ফিরোজ মিনার। এখান থেকে আধ কিমি যেতে কদম রসুল মসজিদ। কদম মানে পদ আর রসুল হলেন নবী হজরত মহম্মদ। কালো পাথরের বুকে পদচিহ্ন। কদম রসুলের বাঁয়ে নেক বিবির সমাধি। কাছেই বিরাট গম্বুজওয়ালা চিকা মসজিদ। নামে মসজিদ হলেও মনে করা হয় এখানে রাজ দরবার বসত। চিকার উত্তর-পশ্চিমে হুসেন শাহের তৈরি গুমটি দরওয়াজা।
কদম রসুলের দক্ষিণ-পূর্বে লুকোচুরি গেট। এর পর বাইশগজী প্রাচীর, কোতোয়ালি দরওয়াজা। সেখান থেকে ডান দিকে বল্লাল সেনের দিঘি পেরিয়ে আরও এগোলে বাংলার চালাধর্মী স্থাপত্যের নিদর্শন ছোটসোনা মসজিদ।
অবশেষে গৌড়ের পথ মিলেছে মহদীপুর সড়কে। দ্রুষ্টব্যগুলি বেশির ভাগই বাইরে থেকে দেখার। চাইলে এক বেলাতেই সেরে নেওয়া যায় ঘোরা।
পাণ্ডুয়া যেতে ফিরতে হবে মালদহে। জাতীয় সড়ক ধরে মহানন্দা পেরিয়ে ১৬ কিলোমিটার উত্তরে পাণ্ডুয়া। প্রথম দ্রষ্টব্য বড়ি দরগাহ্। ৫৫০ বছরের পুরনো দরগা। চতুর্দশ শতকে পারস্য থেকে আসা পির সৈয়দ মখদুম শাহ জালালের নকল সমাধি।
পাণ্ডুয়ার প্রবেশদ্বার সালামি দরওয়াজা। পাশেই উপাসনা বেদি আসনশাহি। অদূরে মিঠা তালাও, কাছেই কাজি মসজিদ। সালামি দরওয়াজা পেরিয়ে আধ কিলোমিটার গেলে নূর কুতব-উল-আলমের মাজার তথা ছোটি দরগাহ। এখান থেকে উত্তর-পশ্চিমে গেলে একলাখি মসজিদ। হিন্দু রাজা যদু ইসলাম ধর্ম নিয়ে নাম নেম জালালউদ্দীন মহম্মদ শাহ, তিনিই সেই সময় ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করলেন এই মসজিদ। নির্মাণকাল ১৪১৪ থেকে ১৪২৮। টেরাকোটা সমৃদ্ধ কারুকার্য সুন্দর। একলাখি লাগোয়া চত্বরে ১০ ডোমের কুতবশাহী মসজিদ।
পাণ্ডুয়ার আর এক গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য আদিনা মসজিদ। ৪০০টি স্তম্ভে ৩৭০টি গম্বুজওয়ালা মসজিদটি দামাস্কাসের জুম্মা মসজিদের আদলে ১৩৬০ সালে তৈরি। আদিনা দেখে জাতীয় সড়ক পেরিয়ে ১ কিমি পুবে বনের মধ্যে সাতাশ ঘরায় সুলতান সিকান্দর শাহের ২৭ ঘরের ধ্বংসস্তূপ দেখে নিতে পারেন। এখন এখানে ডিয়ার পার্ক হয়েছে।
মালদহে পৌঁছেই যতটা পারেন ঘুরে নিন। কিছুটা ঘোরাঘুরি রেখে দিতে পারেন পরদিন সকালের জন্য।
মলুটি হয়ে শান্তিনিকেতন
মলুটিতে দেবী মৌলীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত।
মালদহ থেকে তৃতীয় দিনে চলে আসুন মলুটির উদ্দেশে। মালদহ থেকে ফরাক্কা, মোরগ্রাম, নলহাটি, রামপুরহাট হয়ে যেতে হবে মলুটি। ‘মন্দির গ্রাম’ বলেই এর পরিচিতি। অখণ্ড বিহারের সাঁওতাল পরগনার মল্লহাটিতে পাঁচশো বছর আগে রাজা বাজবসন্ত নানকর (করহীন) বসত বসিয়েছিলেন। রাজবংশ ছিল দেবভক্ত, তাঁরা প্রাসাদের বদলে স্থাপন করেছিলেন ১০৮টি অপূর্ব টেরাকোটা মন্দির। সময়ের ঝড়ঝাপটায় এখন ৭২টি অবশিষ্ট। তাদেরও জীর্ণ, ভগ্নপ্রায় দশা। তবু অপূর্ব সৌকর্য। বেশির ভাগই কালী, শিব ও দুর্গার মন্দির। মন্দিরগুলির দেওয়ালে রাম-রাবণের যুদ্ধ, মহিষাসুরমর্দিনীর কাহিনি, মনসা মঙ্গলের গল্প খোদাই করা। রাসমঞ্চও আছে। মলুটির মূল আকর্ষণ মা মৌলীক্ষার মন্দির। বালক অবস্থায় সাধক বামাক্ষেপা এখানে কাজ করতেন। মলুটি থেকে সিউড়ি হয়ে শান্তিনিকেতনের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টার মতো। বিকাল পর্যন্ত সেখানে ঘুরে সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতন পৌঁছতে পারেন।
পরের দিন খুব ভোরে শান্তিনিকেতন থেকে বেরিয়ে পড়লে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পৌঁছে যাবেন।