Advertisement
E-Paper

শুধু সৈকত নয়, গোয়া ভ্রমণে রাখতে পারেন বিভিন্ন গ্রামও, সেখানে কী দেখার আছে?

গোয়া মানেই শুধু সৈকতের সৌন্দর্য নয়। গোয়ার গ্রামীণ রূপের আকর্ষণও যথেষ্ট। গ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু ইতিহাস। গোয়া ভ্রমণের তালিকায় জুড়বেন নাকি গ্রাম?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:১২
একটু অন্য রকম ভাবে গোয়া ঘুরতে চাইলে চলুন এখানকার গ্রামগুলিতে।

একটু অন্য রকম ভাবে গোয়া ঘুরতে চাইলে চলুন এখানকার গ্রামগুলিতে। ছবি: সংগৃহীত।

গোয়া বললেই সমুদ্র, পাহাড়, হেলে পড়া নারকেল গাছের সারি— এমন দৃশ্যই মানসপটে ভেসে ওঠে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি জগৎজোড়া। শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, গোয়ার সঙ্গীত, ক্রীড়া, সুরা, সংস্কৃতি— সবেতেই রয়েছে নিজস্বতা। তবে এই জায়গাকে শুধু সাগরের রূপে চেনা যায় না। গোয়ার আনাচকানাচে এমন অনেক গ্রাম আছে, যা ভ্রমণের অঙ্গ হতে পারে।

গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে, তালিকায় রাখতে পারেন তিন গ্রামের মধ্যে কোনও একটি।

আলডোনা

আলডোনার সেন্ট টমাস গির্জা।

আলডোনার সেন্ট টমাস গির্জা। ছবি: সংগৃহীত।

গোয়ার খুব সুন্দর একটি গ্রাম আলডোনা। বারদেজ় তালুকে এর অবস্থান। ইদানীং কোনও কোনও উৎসাহী পর্যটক সেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন। গ্রামের পরিবেশ শান্ত। এখানেই রয়েছে পুরনো সেন্ট টমাস গির্জা। ১৫৯৬ সালে মাপুসা নদীর ধারে এটি তৈরি হয়েছিল। মাপুসা গিয়ে মিশেছে মান্ডবীতে। গির্জার অন্দরের শৈলীও ভারি সুন্দর। চাইলে বাইক বা স্কুটার ভাড়া করে গ্রাম ঘুরে আসা যায়। ঘুরে নিতে পারেন কোরজুয়েম ফোর্ট, আলডোনা-কোরজুয়েম সেতু। গ্রামে ঘোরার সময় সেখানকার স্থানীয় রেস্তরাঁর খাবার চেখে দেখতে ভুলবেন না। বিশেষত মাছের পদ।

সালিগাঁও

সালিগাঁওয়ের ‘মায়ে দে দিউস’ গির্জা।

সালিগাঁওয়ের ‘মায়ে দে দিউস’ গির্জা। ছবি: সংগৃহীত।

গোয়ার রাজধানী পানাজি থেকে দশ কিলোমিটার দূরেই সালিগাঁও। গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটিও সুন্দর। কালো পিচরাস্তার দু’ধারে নারকেল গাছের সারি। সালিগাঁওয়ের ‘মায়ে দে দিউস’ গির্জাটি নিও-গথিক স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। পর্তুগিজ ঔপনিবেশিকতার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে গির্জাটি। দুধসাদা গির্জাটি চোখে পড়ার মতোই সুন্দর।

গাছপালা ঘেরা সালিগাও বাঁধ রাস্তাটিও দারুণ। সেখান দিয়ে বাইক চালাতে যেমন ভাল লাগবে, তেমনই হেঁটেও উপভোগ করা যাবে। এখানে রয়েছে খুব পুরনো কয়েকটি পর্তুগিজ বাড়ি। ভিতরে রয়েছে এক সময় এখানে বসবাসকারী পর্তুগিজ পরিবারের ব্যবহৃত আসবাবপত্র। সেই আসবাবের ভাবনাতেও রয়েছে বৈচিত্র। এ সবই গ্রামে গেলে ঘুরে দেখা যায়। বাড়তি পাওনা হতে পারে গোয়ান চা এবং স্ন্যাক্স।

চান্দর

ব্রাগানজ়া বাড়ি।

ব্রাগানজ়া বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

দক্ষিণ গোয়ার চান্দর গ্রামটিও রাখতে পারেন ভ্রমণের তালিকায়। নিরিবিলি গ্রামে খুব পুরনো বাড়ি রয়েছে কয়েকটি। এখানে ব্রাগানজ়া বাড়িটিও ঘুরে নিতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে ফার্নান্ডেজ় হাউজ়। ঘুরে নেওয়া যায় বুদ্ধ পাহাড়।

এখন যেখানে চান্দর নামে গ্রামটি রয়েছে সেখানেই একসময় ছিল চন্দ্রপুরা। ভোজ রাজাদের রাজধানী ছিল এই স্থান। এখানে রয়েছে বহু পুরনো দুর্গ এবং মন্দির।

Goa Travel Tips Offbeat travel destinations
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy