Advertisement
E-Paper

নতুন দেশ, অচেনা ভাষা, ঘাবড়ে না গিয়ে জানুন পরিস্থিতি সামলানোর কৌশল

কোনও বিমানবন্দরে শুধুমাত্র সেই দেশের ভাষায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ দেওয়া থাকে। ভাষাগত তফাত হলে, কাউকে জিজ্ঞাসা করে বোঝাটাও কঠিন। কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়ে ভাষা নিয়ে সমস্যা হলে কী ভাবে তা সামাল দেবেন?

বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়ে ভাষা নিয়ে সমস্যা হলে কী ভাবে তা সামাল দেবেন? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৩
Share
Save

যে দেশে যাচ্ছেন, সেই দেশটি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কোথায় যাবেন, তারও তালিকা তৈরি। কিন্তু সমস্যা বেধেছে বিমানবন্দরে পা রাখার পরেই। বিশাল চত্বর। কিন্তু কোথায় যাবেন, কোন দিকে, বুঝতে পারছেন না। অনেক সময় বিমানবন্দরে শুধুমাত্র সেই দেশের ভাষায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ দেওয়া থাকে। ভাষাগত তফাত হলে, কাউকে জিজ্ঞাসা করে বোঝাটাও খুব কঠিন হয়ে ওঠে। কোথা থেকে মালপত্র সংগ্রহ করবেন, কোন দিকে অভিবাসনের যেতে হবে, সেটা বুঝতে গিয়েই সময় চলে যায়। সহজ কয়েকটি কৌশল জানা থাকলে বিদেশের বিমানবন্দরেও অভিবাসন, নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষানিরীক্ষা, লাগেজ নেওয়ার কাজটি অনেক সহজ হতে পারে।

পড়াশোনা: কিছুটা পড়াশোনা খুব জরুরি। যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের বিমানবন্দরের অফিশিয়াল সাইটে ঢুকে দেখতে পারেন, কোনও ম্যাপ বা টার্মিনাস সম্পর্কে তথ্য দেওয়া রয়েছে কি না। প্রয়োজনে গুগ্‌ল ম্যাপ ব্যবহার করে কোন গেট দিয়ে বেরোলে কোন দিকে যাওয়া যায় জেনে নিন। বিমানবন্দরের কোন গেট দিয়ে বেরোলে সুবিধা, কোথা দিয়ে যেতে হবে, সে বিষয়ে সমাজমাধ্যমে পর্যটকদের কোনও ভিডিয়ো রয়েছে কি না, খুঁজে দেখুন।

জরুরি অ্যাপ: মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপও কাজে লাগানো যায়। যে বিমান পরিবহণ সংস্থার উড়ানে যাচ্ছেন, তাদের অ্যাপ, গুগ্‌ল ট্রান্সলেটর মোবাইলে রাখলে সুবিধা হবে। উড়ান কোথা থেকে ছাড়বে, কত দেরি হবে বা সময়ে রয়েছে কি না, এই ধরনের তথ্য বিমান সংস্থার নিজস্ব অ্যাপে পেয়ে যাবেন। বিমাবন্দরে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকার ভাষা বুঝতে অসুবিধা হলে গুগ্‌ল ট্রান্সলেটরের ক্যামেরা কাজে আসবে। ক্যামেরা চালু করে লেখার উপর ধরে যে ভাষায় সেটি দেখতে চাইছেন, তা উল্লেখ করলেই মুহূর্তে অনুবাদ হয়ে যাবে।

ই-গেট পাস: বিদেশের ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে ই-গেটপাসের সাহায্য ভিড় এড়ানো সহজ হয়। এ জন্য বিমানবন্দরের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হয়। পাসপোর্ট, ব্যক্তিগত তথ্য, হাতের আঙুল বা মুখের ছবি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আপলোড করলে ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি হয়। ই-গেটে প্রথমে পাসপোর্ট স্ক্যান করাতে হয়, তারপর যাত্রীর মুখ। পাসপোর্ট, প্রোফাইলে দেওয়া তথ্য, ছবির সঙ্গে মুখ মিলিয়ে দেখে যন্ত্র। তাতে কোনও ত্রুটি না থাকলে গেট বা দরজা খুলে যায়।

পরিবহণের উপায়: বিমানবন্দর গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য কী কী ব্যবস্থা রয়েছে, সে সম্পর্কে আগাম ধারণা থাকলেও সুবিধা হবে। বিমানবন্দরের নিজস্ব ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে ভিড় থাকতে পারে। ট্রেন বা বাসে গন্তব্যে পৌঁছনো যায় কি না, বিমানবন্দরে কোন গেট দিয়ে বেরোলে বাস বা ট্রেন পেতে সুবিধা হবে, আগাম জেনে নিন। প্রয়োজনে টিকিটও কেটে রাখতে পারেন।

পোশাক: বিমানবন্দরে অনেক সময় পোশাকের জন্যও ঝক্কি পোহাতে হতে পারে। বেল্ট, জ্যাকেট থাকলে তা খুলে স্ক্যান করাতে হয়। জুতোও অনেক সময় খুলে নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে চান। ফলে বেল্ট ছাড়া কোনও পোশাক বেছে নিলে বার বার তা খোলা-পরার ঝক্কি থাকবে না। যে জুতো সহজে খোলা-পরা যায়, তেমনই কোনও একটি পরতে পারেন।

Travel Tips

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}