স্নানঘর বা শৌচালয়ে ব্যবহার্য জিনিস সফরের সময় হাতের কাছে থাকলেই সুবিধা হয়। তাতে এমনিতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে সমস্যা হতে পারে যদি বিমানে সফরের সময় বেখেয়ালে সেই জিনিসের মধ্যে কোনও বৈদ্যুতিক জিনিস চলে যায়।
ট্রেন বা সড়কপথে ব্যাগপত্রে কোথায় কি রাখা হবে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর তেমন দরকার না পড়লেও, বিমান সফরে সবটাই ভাবতে হয়। ছুরি, ব্লেড, রেজ়ারের মতো জিনিস হাতব্যাগে মিললে আর ঝামেলার শেষ থাকবে না। এমনকি, কোনও কোনও বিমান পরিবহণ সংস্থা ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’ বহনেও কড়াকড়ি করে। ছুরি, কাঁচিতে নিষেধাজ্ঞার কথা মোটামুটি জানা থাকলেও, সমস্যা হয় বৈদ্যুতিক বা ব্যাটারিচালিত জিনিস নিয়ে। ইলেকট্রিক টুথব্রাশ বা লিথিয়াম ব্যাটারির কোনও যন্ত্র হাতব্যাগে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে পর্যটকদের অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে।
আরও পড়ুন:
ভারতীয় একাধিক বিমান পরিবহণ সংস্থা হাতব্যাগে বৈদ্যুতিক টুথব্রাশ নিয়ে যেতে দেয়। লিথিয়াম-আয়ন বা লিথিয়াম-মেটাল ব্যাটারি থাকে দাঁত মাজার ব্রাশের ভিতরে। তবে কেবিন ব্যাগেজ বা হাতব্যাগে সেটি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও চেক-ইন লাগেজে সেই ছাড়পত্র থাকে না।
দাঁত মাজার বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক ব্রাশে কম শক্তির লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার হয়। সাধারণত ১০০ ওয়াটের নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন লিথিয়াম ব্যাটারির কোনও যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় না বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি। হাতব্যাগে লিথিয়াম ব্যাটারি চালিত জিনিস নেওয়ার ছাড়াপত্র থাকলেও, চেক ইন লাগেজের জন্য নিয়ম বেশ কড়া। যে ব্যাগটি স্ক্যান করে বিমানের ভিতরে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটিকে চেক ইন লাগেজ বলে। সেখানে এই ধরনের ব্যাটারি বা ব্যাটারিচালিত জিনিস রাখা চলে না।
এর নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ আছে। রানওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় বা বিমান ওঠা-নামার সময়ে তাপমাত্রা সাধারণত বেড়ে যায়। লিথিয়াম ব্যাটারি তেতে গেলে এবং একই সঙ্গে ব্যাটারিস্থিত রাসায়নিকের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই সতর্কতা। বিমানে ই-টুথব্রাশ নিয়ে গেলেও, ব্যাটারি আলাদা করে রাখা ভাল।
ক্যামেরা থেকে নানা রকম গ্যাজেটে অনেক সময় লিথিয়াম ব্যাটারির ব্যবহার হয়। হাতের ব্যাগে বা কেবিন ব্যাগেজে সেগুলি ভরার আগে ব্যাটারির ক্ষমতা এবং সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার নিয়মকানুন জেনে নেওয়া দরকার।