ঘুরে বেড়াতে ভালই বাসেন সচিন তেন্ডুলকরেরর কন্যা সারা তেন্ডুলকর। শুধু তাই নয়, মডেলিংয়ের পাশাপাশি রকমারি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেও তাঁর আগ্রহ। কখনও সমুদ্রের বুকে ঢেউয়ের তালে সার্ফিং করতে দেখা যায় তাঁকে, কখনও সৈকতে ঘুরে বেড়াতে। অতীতে দেশে-বিদেশে ভ্রমণের ভিডিয়ো এবং ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন তিনি। তবে এখন সচিন-তনয়া অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে মেতেছেন। ইনস্টাগ্রামে শোভা পাচ্ছে জ়িপলাইনিংয়ের ছবি। রোমাঞ্চক ক্রীড়ার আনন্দ এবং উত্তেজনার অভিব্যক্তি ধরা পড়েছে সারা চোখেমুখে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে সৈকত শহর গোল্ড কোস্টে বেড়াচ্ছেন সারা। বিনোদন পার্কের নানা রকম ক্রীড়ার আনন্দ এবং উত্তেজনা উপভোগও করছেন। সারার মতোই জ়িপলাইন করতে চান? সেই জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতেই হবে এমনটা মোটেই নয়। এ দেশের নানা প্রান্তেই জ়িপলাইনের অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। কোথায় গেলে এমন রোমাঞ্চের স্বাদ পাবেন? তার আগে জানা দরকার জ়িপলাইন ঠিক কী? রোপওয়ে বা কেবল কারে যেমন এক জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়া যায়, জ়িপলাইন কিছুটা তেমন। তবে এখানে কেবল কারের মতো চেয়ার বা কোনও ক্যাপসুলের মতো বসার জায়গা থাকে না। বরং দড়িতে ঝুলতে ঝুলতে এক প্রান্ত থেকে অন্যত্র যাওয়া যায়। এটি অনেক বেশি রোমাঞ্চক।
নাগ্গর, হিমাচল প্রদেশ
হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় জিপ লাইনের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগ মেলে। ছবি: সংগৃহীত।
হিমাচল প্রদেশের একাধিক জায়গায় জ়িপলাইনিং হয়। নাগ্গরের জ়িপলাইন বেশ লম্বা। এ ছাড়াও মানালির কাছে সোলাং ভ্যালি, সিমলার কাছে ক্লাব হাউসেও জ়িপলাইনিং করানো হয়।
শিবপুরী, হৃষীকেশ
রোমাঞ্চক ক্রীড়ার জন্য উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশের খ্যাতি। গঙ্গা এখানে খরস্রোতা। পাহাড়ি জনপদে রিভার র্যাফটিং যেমন জনপ্রিয়, তেমনই গঙ্গার উপর দিয়ে জ়িপলাইনের সুযোগ মেলে এখানে। উপভোগ করা যায় পাহাড়ের সৌন্দর্যও। হৃষীকেশ থেকে শিবপুরীর দূরত্ব ১৮ কিলোমিটারের মতো। বাসেই আসা যায়। শিবপুরী থেকে জ়িপলাইন হয়। দূরত্ব ৮০০ মিটার।
নিমরানা ফোর্ট, রাজস্থান
আরাবল্লি পর্বত এবং রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী নিমরানা ফোর্টের সৌন্দর্য উপভোগে জ়িপলাইনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। নিমরানা ফোর্ট যদিও এখন বিলাসবহুল হোটেল। জ়িপলাইন করার জন্য কিছুটা হেঁটে পাহাড়ের মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে যেতে হয়। স্পল্প এবং বেশি দৈর্ঘ্যের দু’ ধরনের জ়িপলাইনিং করানো হয়। দূরত্ব অনুযায়ী খরচ ধার্য হয়।
মুন্নার, কেরালা
মুন্নারে চা-বাগানের উপর দিয়ে হয় জিপ লাইন। ছবি:সংগৃহীত।
দক্ষিণ ভারতেও রয়েছে পাহাড়ি জলপদ। মুন্নার তেমনই এক স্থান। চা-বাগান, ঝর্না, জলাধারের সৌন্দর্য ঘিরে রেখেছে মুন্নার। ঘন সবুজ হয়ে থাকা চা-বাগানের সৌন্দর্য পাখির চোখে দেখতে চাইলে এটাই বোধহয় ভাল উপায়। তবে অন্য জায়গার জ়িপলাইনিংয়ের চেয়ে কেরলেরটা সামান্য আলাদা। এ ক্ষেত্রে প্রথমে উপুড় করে শুইয়ে দেওয়া হয়। তার পর সেই অবস্থায় দড়িতে ঝুলে এক প্রাপ্ত থেকে অন্যত্র যাওয়া হয়। মুন্নারে একাধিক সংস্থা জ়িপলাইন করায়।
গ্যাংটক, সিকিম
সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে জ়িপলাইনিংয়ের সুযোগ মেলে। গ্যাংটক থেকে ছাঙ্গু যাওয়ার সময় ছোট একটি জলপ্রপাত পড়ে। সেখানে জ়িপলাইনিং করা যায়। পূর্ব সিকিমের পুরনো রেশম পথে লিংথাম এবং পদমচেনের মাঝে পড়ে কিউ খোয়া জলপ্রপাত। সেই জলপ্রপাতের উপর জ়িপলাইনিং হয়। গ্যাংটকের অদূরে বার্কথং জলপ্রপাতের উপরেও জ়িপলাইনিং হয় এখন।
শুধু এই পাঁচ স্থান নয়, পর্যটনের প্রসারে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও এমন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস জনপ্রিয় হচ্ছে। সেই তালিকায় উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গোয়া-সহ একাধিক রাজ্য আছে।