রূপনারায়ণের তীরেই মিলবে চড়ুইভাতি করার মতো একাধিক মনোরম জায়গা। ছবি: সংগৃহীত
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ চলছে। বর্ষশেষের এই দিনগুলিতে বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয় পরিজন নিয়ে চড়ুইভাতি করতে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। কলকাতার আশপাশেই রয়েছে এমন অনেক জায়গা, যেগুলি একটি দিন কাটিয়ে আসার জন্য হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। তেমনই একটি জায়গা কোলাঘাট। অনেকেই দিঘা যাওয়ার পথে কোলাঘাটের বিভিন্ন ধাবায় খাওয়াদাওয়া করতে থামেন। রাস্তা থেকে একটু দূরে রূপনারায়ণের তীরের দিকে গেলেই মিলবে চড়ুইভাতি করার মতো একাধিক মনোরম জায়গা।
কোলাঘাটে রূপনারায়ণের দুই পারেই চড়ুইভাতি করতে আসেন বহু মানুষ। কলকাতা থেকে গেলে সেতুর আগে হাওড়ার দিকটি পড়বে। কোলাঘাট ব্রিজের কাছ থেকেই রাস্তা নেমে গিয়েছে নদের তীরে। সম্প্রতি এখানে গড়ে উঠেছে পিকিনিকের উপযোগী কয়েকটি বাংলো। ফলে আলাদা স্বাদ মিলবে নদীর পারে চড়ুইভাতি করার। আবার কোলাঘাট সেতু পেরিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের দিকে নদের ধারেও পিকনিক করেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে কোলাঘাট শহরের দিকে বাঁক নিতে হবে। এ দিকে ব্রিজ থেকে কয়েক কিলোমিটার এগোলেই নদের পারে বেশ কিছু মনোরম জায়গা রয়েছে। দেনান নামের একটি জায়গায় রয়েছে ঝাউবন ও বাংলো। এখানেও চড়ুইভাতি করতে আসেন অনেকে। নদের তীর বরাবর তমলুক শহরের দিকে ঘণ্টা দুয়েক গেলে বাপুর, জামিত্যার মতো একাধিক জায়গা আছে।
মাথায় রাখার বিষয়
এখনও পর্যন্ত এখানে পিকনিকের জন্য আলাদা করে কোনও অনুমতি নিতে হয় না। রান্নাবান্না ও খাওয়ার জন্য জলের বড় ব্যারেল কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই চড়ুইভাতি করতে এসে রূপনারায়ণে নৌকা ভ্রমণে যান। প্রশাসনিক ভাবে কিন্তু এই নৌকাভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। ২০০৯ সালে ডিসেম্বরে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে এখানে। তার পর থেকেই কড়াকড়ি। অযথা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকাবিহার না করাই ভাল।
কী ভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে সড়কপথে কোলাঘাট যাওয়া খুবই সহজ। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় কোলাঘাট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy