উত্তরপ্রদেশের ‘মুস্ট্যাশ ম্যান’। —ফাইল চিত্র।
স্ত্রীবিয়োগ হয়েছে ৩৫ বছর আগে। বহু বছর ধরে কন্যা এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গেও দেখা করেননি বৃদ্ধ। পাছে তাঁর গোঁফের ক্ষতি হয়। বহু দিন থেকে গোঁফ লম্বা করার শখ ছিল তাঁর। কী ভাবে গোঁফের দৈর্ঘ্য বাড়ানো যায়, কী ভাবে গোঁফ আরও পাকাপোক্ত হয় তা নিয়েও চর্চাও করেছেন তিনি। ৮০ বছর পার করেও এখনও নজর কাড়ছেন রমেশচাঁদ কুশওয়া। উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা তিনি। পেশায় দুধবিক্রেতা তিনি।
দুধ বিক্রি করার পাশাপাশি দিনের অধিকাংশ সময় রমেশচাঁদ ব্যয় করেন গোঁফের যত্ন নিতে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বৃদ্ধ জানান, বইয়ের পাতায় এক লম্বা গোঁফওয়ালা ব্যক্তির ছবি দেখেছিলেন তিনি। তার পর থেকে গোঁফ লম্বা করার ইচ্ছা জেগে ওঠে তাঁর। ৩৫ বছর আগে স্ত্রী মারা যান রমেশচাঁদের। তার পর থেকেই গোঁফের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির জন্য উঠেপড়ে লাগেন তিনি। গোঁফ ছাঁটাই বন্ধ করে দেন রমেশচাঁদ।
দুধ, দই, মাখন, এমনকি ক্রিম লাগালে গোঁফ লম্বায় বাড়তে পারে, এমনটাই শুনেছিলেন বৃদ্ধ। গোঁফের যত্ন নেওয়ায় কোনও ফাঁকি দিতেন না তিনি। লোকজনের সঙ্গে দেখা করলে গোঁফ ছিঁড়ে যেতে পারে বলে কন্যা এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গে দেখা করাও বন্ধ করে দেন রমেশচাঁদ। গোঁফ যেন আরও মজবুত হয় সে কারণে সুতো দিয়ে জড়িয়ে রাখেন তিনি। ৩৫ ফুট লম্বা গোঁফ তাঁর মাথার উপরে একটি বলের সঙ্গে বেঁধে রাখেন বৃদ্ধ। এর ফলে তাঁর শখের গোঁফ ছিঁড়েও যায় না।
দূরদূরান্ত থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রমেশচাঁদের দুধের দোকানেও যান পর্যটকেরা। তাঁর সঙ্গে ছবিও তোলেন। সাক্ষাৎকারে রমেশচাঁদ বলেন, ‘‘আমি এক বার তাজমহল ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি, বিদেশি পর্যটকেরা আমায় ঘিরে ধরেছেন। তাজমহলের চেয়ে আমায় নিয়েই তাঁদের আগ্রহ বেশি। প্রচুর ছবি তুলেছিলেন আমার সঙ্গে। এত ভালবাসা পেয়ে আমার নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy