শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন তরুণী। সেই তরুণীকেই সম্প্রতি একটি ভিডিয়োয় নাচতে দেখা গিয়েছে। শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়েও তিনি কী ভাবে নাচতে সক্ষম হলেন তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের এক জন সরকারি কর্মী। তাঁর নাচের ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার পর তাঁকে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ করা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। প্রিয়ঙ্কা কদম নামের ওই তরুণী বর্তমানে উজ্জয়িনীর ট্রেজ়ারি এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগে সহকারি অডিট অফিসার হিসাবে নিযুক্ত। মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিসের রাজ্য পরিষেবা পরীক্ষায় পাশ করে ২০২২ সালে তিনি চাকরি পান।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার একটি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর নিয়োগ নিয়ে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার নিয়োগ নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার পরই একটি বিবৃতি জারি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, হাড় সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাঁর ৪৫ শতাংশ অক্ষমতা রয়েছে। তিনি হাঁটতে পারেন এমনকি নাচতেও পারেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান, ২০১৭ সালে বাথরুমে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর শরীরে নিম্নাংশে আঘাত লাগে। তখন এমআরআই স্ক্যান করে দেখা গিয়েছিল যে, তিনি ‘অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস’ নামের একটি রোগে ভুগছেন। এ ক্ষেত্রে রক্ত সরবরাহে বাধার কারণে হাড়ের টিস্যুগুলি নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি নাচের ব্যাপারে জানান, জটিল অস্ত্রোপচারের সময় লাগানো ইমপ্ল্যান্টের কারণেই তিনি হাঁটতে পারেন। এমনকি ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী পাঁচ থেকে দশ মিনিট নাচার ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর। তাঁর নাচের একটি ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত হয়েছে।