মাছের স্যুপ খেতে গিয়ে এক মহিলার গলায় বিঁধেছিল কাটা। সেই কাঁটা বার করার জন্য নানা ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তাতেও কোনও কাজ হয়নি প্রথমে। তীব্র ব্যথা শুরু হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ছোটেন। এক্স-রে করেও গলায় ফুটে থাকা কাঁটার হদিস করতে পারেননি চিকিৎসকেরা। ম্যাজিকের মতো যেন কাঁটাটি উধাও হয়ে যায়। সেই ঘটনা দেখে অবাক হন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি তাইল্যান্ডের। কয়েক সপ্তাহ আগে সাং নামের তরুণীর সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সাঙের স্বামী বিষয়টি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেন। স্যুপ খেতে গিয়ে গলায় অসাবধানে কাঁটা ফুটে যায় সাঙের।
গলার মধ্যে কাঁটার কোনও চিহ্ন না পেয়ে সাং ধরে নেন যে কাঁটাটি বেরিয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে সাং বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু তাঁর ব্যথা কমছিল না। গলায় অস্বস্তি বজায় ছিল। থাইরয়েডের সমস্যা সন্দেহ করে দ্বিতীয় বার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন তিনি। কিন্তু সেই বারও চিকিৎসকের নজরে কোনও অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি। ব্যথা কমানোর ওযুধ দিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।
১৭ জুন সাং গলার ব্যথা উপশম করার জন্য মলম লাগাচ্ছিলেন। তখন তিনি লক্ষ্য করলেন যে তাঁর ত্বক ফুঁড়ে কিছু একটা বার হয়ে পড়েছে। ভাল করে পরীক্ষা করার পর সাং দেখতে পান যে তাঁর ঘাড়ের পাশ থেকে একটি ধারালো, সাদা কাঁটার মতো জিনিসের ডগা বেরিয়ে আসছে। তিনি মৃদু চাপ দিতেই ঘাড়ের পাশে ছিদ্র তৈরি হয়ে যায়। সাং ও তাঁর স্বামী তৃতীয় বারের জন্য হাসপাতালে দৌড়ে যান। চিকিৎসকেরা অবশেষে সাঙের ত্বকের নীচ থেকে দুই সেন্টিমিটার লম্বা একটি মাছের কাঁটা বার করেন। চিকিৎসকেরাও এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্বীকার করেন যে ইতিপূর্বে তাঁরাও এমন ঘটনার মুখোমুখি হননি।