কাউকে টাকা দিয়ে ফেরত পাচ্ছেন না? প্রেমিকার পরকীয়া হাতেনাতে ধরতে চান? অফিসে কেউ উত্ত্যক্ত করছে নিয়মিত? কোনও চিন্তা নেই। মুশকিল আসান করবে জাপানের এক সংস্থা। গ্রাহকদের সমস্যা থেকে মুক্ত করতে ‘ভয়ঙ্কর ব্যক্তি’দের ভাড়া দিচ্ছে তারা। সংস্থার পাঠানো ওই ‘ভয়ঙ্কর মানুষেরা’ এসে আপনার সমস্যা সমাধান করে চলে যাবে এক নিমেষে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ (এসসিএমপি) জানিয়েছে, জাপানের ওই সংস্থার নাম ‘রেন্টাল কোওয়াইহিতো’। সমস্যা সমাধানের জন্য ‘ভয়ঙ্কর ব্যক্তি’ ভাড়া দিয়ে জাপানের সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তারা। জনপ্রিয়তাও পেয়েছে তাদের অনন্য পরিষেবা। জানা গিয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি কারও থেকে টাকা আদায় করতে চান, স্ত্রী বা প্রেমিকার গোপন প্রেমিককে শায়েস্তা করতে চান অথবা অফিসের কোনও সহকর্মীকে উচিত শিক্ষা দিতে চান, তা হলে ওই সংস্থার দ্বারস্থ হতে হবে তাঁদের। এর পরেই ‘ভয়ঙ্কর’ কিছু মানুষ পাঠিয়ে দেবেন তাঁরা। গ্রাহকের সমস্যার ‘সমাধান’ হবে আধ ঘণ্টার মধ্যেই।
আরও পড়ুন:
অবিশ্বাস্য মনে হলেও গত ২৮ অগস্ট জাপানে একটি সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ্যে এসেছে বিষয়টি। ওই সংস্থার ওয়েবসাইটের ছবিও সেখানে পোস্ট করা হয়। সেই পোস্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই জাপানের বহু মানুষ ওই সংস্থার পরিষেবা নিয়েছেন। এ-ও জানানো হয়েছে, সংস্থার তরফে গ্রাহকদের সমস্যা ‘সমাধান’ করতে যাঁদের পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের বেশির ভাগেরই মাথা কামানো। শরীরে অজস্র ট্যাটু। দেখতেও ভয়ঙ্কর।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য ভয়ঙ্কর কিছু মানুষকে ভাড়া দেওয়া হলেও তাঁরা কোনও অবৈধ কাজ করেন না। যাঁদের পাঠানো হয়, তাঁরা পেশাদার গুন্ডাও নন। বুঝিয়েসুঝিয়েই নাকি সমস্যা সমাধান করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
প্রতি ৩০ মিনিটের পরিষেবার জন্য সংস্থাটি গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০ হাজার জাপানি ইয়েন (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার টাকা ) নেয়। তিন ঘণ্টার জন্য পরিষেবা নিলে দিতে হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এসসিএমপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেকে জাপানিই সংস্থার পরিষেবার প্রশংসা করেছেন। সমালোচনাও করেছেন অনেকে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘আমি মনে করি এটি একটি কার্যকর পরিষেবা। কারণ, দুর্বল দেখলেই কিছু মানুষ মাথায় চেপে বসে। ওই সব মানুষদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যও এ রকম পরিষেবা দরকার।’’