প্রেম কোনও বয়স মানে না। অভিভাবক-শিক্ষক সভায় প্রথম দেখা হয় দু’জনের। মাঝখানে দেখা হয়নি কয়েক দশক। হঠাৎ করেই একটি সালোঁয় দেখা হয় পুরনো সহপাঠিনীর মায়ের সঙ্গে। সেই আকস্মিক সাক্ষাৎই দু’জনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ৫৪ বছরের প্রৌঢ়ার প্রেমে পড়ে যান ৩৩ বছরের তরুণ! ২১ বছরের বড় প্রেমিকা তাঁর প্রাক্তন সহপাঠীর মাও বটে। শুধু প্রেম নয়, বিয়েও করেছেন দু’জনে। সম্প্রতি দুই অসমবয়সি পাত্র-পাত্রীর বিয়ের খবর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জাপানের শিজুওকার বাসিন্দা ইসামু তোমিওকা বিয়ে করেছেন ৫৪ বছর বয়সি মিডোরিকে। একটি জাপানি টক শোয়ে উপস্থিত হয়ে ইসামু জানান, বহু বছর পরে সহপাঠিনীর মাকে দেখে নতুন করে প্রেমে পড়ে যান। মিডোরির মার্জিত কোমল স্বভাবের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া মিডোরি স্বীকার করেছেন যে, তিনি প্রথমে অবাক হলেও মনে মনে চাপা উত্তেজনা অনুভব করেছিলেন। তাঁর তুলনায় বয়সে অনেক ছোট এক পুরুষ তাঁর প্রেমে পড়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মিডোরি তাঁদের বয়সের ব্যবধান নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু ইসামু তাঁকে বার বার আশ্বস্ত করেছিলেন। ইসামুর নাছোড়বান্দা মনোভাব তাঁর মন জয় করে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
প্রেমিকার বিশ্বাস অর্জনের জন্য ২ লক্ষ ৭২ হাজার ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কিনে দিয়েছেন ইসামু। যখন এই দম্পতি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন মিডোরির পরিবার তীব্র আপত্তি জানায়। মিডোরির বাবা-মা ইসামুকে জানান, মিডোরির বয়স ইতিমধ্যেই ৫৪ বছর পেরিয়েছে। আর সন্তান ধারণ করতে পারবেন না। তাই ইসামুর উচিত সমবয়সি কাউকে বিয়ে করা। গত বছরের জুলাই মাসে এই দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ইসামু কেবল মিডোরির মেয়ের সৎবাবাই হননি, বরং মিডোরির চার নাতি-নাতনির দাদুও হয়েছেন।