চিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন-এর (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ ২০টি দেশের রাষ্ট্রনায়ক ও নেতারা। এসসিও-র এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফও। সেই সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় সারছিলেন পুতিন। সঙ্গে ছিলেন আয়োজক দেশের সর্বময় কর্তা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানে পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য প্রায় দৌড়ে যাচ্ছেন শরিফ। পাকিস্তানি নেতার এ-হেন আচরণ দেখে সমালোচনা ও হাসির ঝড় বয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুতিন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাঁটছেন। সেখানে উপস্থিত নানা দেশের নেতৃবৃন্দ। সেই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় পিছন থেকে সকলকে সরিয়ে এগিয়ে আসেন। হঠাৎ করেই পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেন। প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও সৌজন্যের খাতিরে হাত মেলান পুতিন। ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘অন্য নেতারা যখন সংযম দেখাচ্ছিলেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে পুতিনের কাছে এসে করমর্দন করলেন। দৃষ্টি আকর্ষণকারী করুণ আচরণ। জিনপিংও বুঝতে পেরেছিলেন যে শাহবাজ় কী করতে চলেছেন। তাই তিনি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে উপেক্ষা করলেন।’’
ভিডিয়োটি ‘ইনকগনিটো’ নামের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করার পর সমাজমাধ্যমে একাই নজর কেড়ে নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণের জন্য নিন্দা করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে মন্তব্য বিভাগে। কেউ কেউ তাঁকে জোকারও বলেছেন। ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি লাইক জমা পড়েছে তাতে। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, “এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আয়োজক দেশের প্রেসিডেন্টও উপেক্ষা করছেন।”
এসসিও সম্মেলনে শাহবাজ়ের সমাজমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০২২ সালের এসসিও সভার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সেখানেও শাহবাজ় এবং পুতিন উপস্থিত ছিলেন। পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পাক প্রধানমন্ত্রী এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। তিনি তাঁর অনুবাদ হেডফোন ঠিক করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। বার বার পিছলে পড়ে যাচ্ছিল সেটি। সেই দৃশ্য দেখে পুতিনও হেসে ফেলেন।