প্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে উড়ে এসেছিলেন তরুণী। স্বপ্ন ছিল পাক তরুণকে বিয়ে করে সংসারী হবেন। পাকিস্তানে পা দিয়েই সেই আশা এক মুহূর্তেই ধূলিসাৎ হয়ে যায় ৩৩ বছর বয়সি ওনিজা অ্যান্ড্রু রবিনসনের। অনলাইনে আলাপ হওয়া তরুণ তাঁর বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ায় তাঁর দীর্ঘ যাত্রা হতাশায় পর্যবসিত হয়। এক বছর ধরে ভিসার জটিলতায় পাকিস্তানেই আটকে পড়েছিলেন ওনিজা। সমাজমাধ্যমে ওই মহিলার গল্পটি ছড়িয়ে পড়তেই তা নজরে আসে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের। তিনি একটি ভিডিয়োয় দাবি করেছেন, এত দিন আটকে থাকার পর তিনি দেশে ফিরতে চান। তাই পাক সরকারের কাছে তিনি ১ লক্ষ ডলার দাবি করেছেন, যার মূল্য ভারতীয় টাকায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকারও বেশি। তরুণীর এই দাবি শুনে চমকে উঠেছেন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুসারে ১৯ বছর বয়সি নিদাল আহমেদ মেমনকে বিয়ে করতে নিউ ইয়র্ক থেকে করাচি চলে আসেন ওনিজা। করাচিতে মেমনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেন পাক তরুণ। এ দিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েক দিন করাচিতে আটকে পড়েছিলেন তরুণী। মেমনকে বিয়ে করার জন্য নাছোড়বান্দা ছিলেন ওনিজা। সমাজমাধ্যমে তাঁর ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ভাবে আলোচিত হয় (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। এমনকি তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সেখানেই তিনি অর্থের দাবি তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওনিজা বলেন, ‘‘আমাকে টাকা দিতে হবে। সরকারের উচিত আমাকে ১০০,০০০ ডলার দেওয়া। সরকারের কাছে আমার দাবি।’’ তিনি ভিডিয়োয় মেমনকে বিয়ে করার দাবিও তোলেন। ঘোষণা করেন, তিনি নিদাল আহমেদ মেমনের বিবাহিতা স্ত্রী, তাঁরা খুব শীঘ্রই দুবাই পাড়ি দিচ্ছেন। এরই মাঝে ঘটে আরও এক ঘটনা। জেরেমিয়া রবিনসন নামে একজন ব্যক্তি নিজেকে ওনিজার ছেলে বলে দাবি করেন। তিনি পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার জানান যে তাঁর মা মানসিক রোগ ‘বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে’ ভুগছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানে কয়েক মাস থাকার পর ওনিজা অবশেষে নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন।