মহিলাদের সঙ্গে কেনাকাটা করতে গেলেই নাকি বিরক্ত হয়ে পড়েন পুরুষেরা। প্রেমিকা হোক বা স্ত্রী, সকলের কাছে এই একই নালিশ করেন তাঁদের সঙ্গীরা। তবুও এক রকম নিরুপায় হয়েই একসঙ্গে যান তাঁরা। পাল্টা নালিশ জানান মহিলাদের একাংশও। তাঁদের দাবি, কেনাকাটা করার সময় নাকি কোনও আগ্রহ দেখান না তাঁদের সঙ্গীরা। অকারণে তাড়াও দিতে থাকেন। তাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বাজার করা হয় না। এই সমস্যার চটজলদি সমাধান বার করেছে চিনের একটি শপিং মল। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
এক দিকে শপিং মলে মহিলারা মনের আনন্দে কেনাকাটা করবেন, অন্য দিকে তাঁদের সঙ্গীরাও বিরক্ত বোধ করবেন না, এমনই এক ব্যবস্থা শুরু করেছে ওই মল। তাই প্রেমিক অথবা স্বামীদের জন্য শপিং মলে আলাদা ভাবে ‘গুদামঘর’ তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের বলা হয়েছে, স্বামীদের এই ঘরে ‘ফেলে রেখে’ তাঁরা কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার বাড়ি ফেরার সময় সঙ্গীকে নিয়ে চলেও যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
চিনের সাংহাইয়ের একটি শপিং মলে এমনই ‘স্টোরেজ পড’ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে মাসাজিং চেয়ার, টেলিভিশন স্ক্রিন এবং নানা ধরনের ভিডিয়ো গেম। কাচ দিয়ে ঘেরা পডের ভিতর বসেই আরাম করতে পারেন পুরুষেরা। অবশ্য এই সুবিধা বিনামূল্যে ভোগ করতে পারবেন না তাঁরা।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আধ ঘণ্টা এই পরিষেবা নিতে হলে ভারতীয় মুদ্রায় ২৩৬ টাকা খরচ করতে হবে। কেউ যদি এক ঘণ্টা সেই পডের ভিতর বসে থাকতে চান, তা হলে তাঁকে ৩৫৪ টাকা খরচ করতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা দিতে হবে পরিষেবা গ্রহীতাদের। এক তরুণীর দাবি, ‘‘আগে আমার স্বামী কিছুতেই শপিং মলে যেতে চাইত না। খুব চেঁচামেচি করত। এখন দেখি, খুব মজা পায়। ওর উৎসাহ যেন আমার থেকেও বেশি।’’