বহু দিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন ফেলিসিয়া এবং হ্যারল্ড। সারা জীবন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুগল। বিয়ের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিয়ের পোশাকও পাটপাট করে সাজানো রয়েছে তাঁদের ঘরে। চিন্তায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল দু’পক্ষের পরিবারের। পরে খোঁজ নিতে যুগল জানালেন, বিয়ের আগে মন ফুরফুরে রাখতে একটি বিশেষ কাজ করছেন তাঁরা। ঘণ্টা পাঁচেক বিরতি চাই তাঁদের। এই সময়টুকু যেন সেই যুগলকে কোনও ভাবেই বিরক্ত করা না হয়। সময়মতো বিয়ের অনুষ্ঠানগৃহে পৌঁছে যাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হ্যারল্ডের চেয়ে ফেলিসিয়া মাত্র এক বছরের ছোট। ২৭ বছর বয়সি ফেলিসিয়ার সঙ্গে হ্যারল্ডের সম্পর্ক বহু দিনের। ভালবেসেই বিয়ে করছেন দু’জনে। কিন্তু বিয়ের দিন দু’জনের চিন্তা শুরু হয়। তাঁদের দাবি, বিয়ের আগে নিজেদের ‘রিচার্জ’ করতে চান। না হলে বিয়ের এত রকম নিয়মকানুন এবং আত্মীয়স্বজনের চাপে অস্থির হয়ে উঠবেন দু’জনে। বিয়ের অনুষ্ঠান যেন ভাল মনে কাটাতে পারেন, সে কারণে ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন তাঁরা।
স্পেনের মাদ্রিদে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ করতে গিয়েছিলেন ফেলিসিয়া এবং হ্যারল্ড। সেখানকার একটি হোটেলে গিয়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য একটি ঘর বুক করলেন। তার পর নানা রকমের খাবার অর্ডার করতে থাকলেন দু’জনে। টিভি দেখতে দেখতে দু’জনে ভালমন্দ খেলেন, প্রাণ ভরে গল্প করলেন। এ ভাবেই পাঁচ ঘণ্টা কেটে গেল। তার পর নির্দিষ্ট সময়ে বিয়ের জন্য হাজির হলেন তাঁরা।
ফেলিসিয়া এবং হ্যারল্ডের দাবি, তাঁরা দু’জনেই খেতে ভালবাসেন। একসঙ্গে গল্প করতে করতে খাওয়াদাওয়া করলে দু’জনেরই মন ভাল থাকে। বিয়ের সময় সারা দিন প্রচুর পরিশ্রম হয়। জীবনের এই শুভ দিনে মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়তে চাননি তাঁরা। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরুর আগেই মন ফুরফুরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। নিজেদের প্রিয় কাজ করার জন্য বিশেষ বিরতি নেন। এর ফলে তাঁদের মনও ‘রিচার্জ’ হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি হবু দম্পতির।