পড়ুয়াদের অ্যাসাইনমেন্ট করতে দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। নির্দেশ মেনে সেই প্রজেক্ট শেষ করে হোয়াটস্অ্যাপে পাঠিয়েছিলেন পড়ুয়া। সারা রাত জেগে পড়াশোনা করছিলেন দেখে প়ড়ুয়াকে শাসন করলেন সেই শিক্ষিকা। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ার চ্যাটের সেই স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ডিআর. কবিতা কে.’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লিঙ্কডইনের পাতায় দু’জনের হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কবিতা। তাঁর পড়ুয়াদের একটি অ্যাসাইনমেন্ট করতে দিয়েছিলেন তিনি। কবিতার নির্দেশ মেনে সেই কাজ শেষ করে তাঁকে হোয়াটস্অ্যাপে পাঠান এক পড়ুয়া। ঘড়িতে তখন ভোর ৩টে ৪৯ মিনিট। এত ভোরে তাঁর এক পড়ুয়া পড়াশোনা করছেন দেখে প্রশংসা করলেন কবিতা। কিন্তু তার পাশাপাশি ভালবেসে বকুনিও দিলেন।
ঘুম বাদ দিয়ে সারা রাত জেগে প্রজেক্ট করতে বারণ করলেন শিক্ষিকা। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে দিনের অন্য সময়ে পড়ুয়াকে পড়াশোনা করার পরামর্শও দিলেন। শিক্ষিকা লিখেছেন, ‘‘তুমি খুব সুন্দর কাজ করেছ। কোনও রকম প্রয়োজন হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পার। কিন্তু এ ভাবে ঘুমের বলিদান দিয়ো না। এখন ঘুমিয়ে পড়। ঘুম থেকে উঠে, জলখাবার খেয়ে আমার সঙ্গে কথা বলো।’’ শিক্ষিকার এই পরামর্শ দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটপাড়ার অধিকাংশ। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘সকলেই যেন তাঁদের পড়াশোনা চলাকালীন আপনার মতো শিক্ষিকা পান।’’