অসহ্য পেটে ব্যথায় কাতরাচ্ছিল জেলবন্দি তরুণ। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে জেলের আধিকারিকদের কাছে অসুস্থতার কথা বলে সে। চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তাকে পরীক্ষা করার পর হতবাক হয়ে যান। কারণ হাসপাতালে এসে ওই বন্দি তাদের জানিয়েছিল যে, সে ভুলবশত একটি পাথর গিলে ফেলেছে। সেই শুনে তার পেটে আলট্রাসাউন্ড করানো হয়। সেখানেই ধরা পড়ে আসল ঘটনা। অস্ত্রোপচার করে বন্দির পেট থেকে বার করা হয় আস্ত একটি মোবাইল। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের শিবমোগা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ঘটনাটি জুন মাসের হলেও সম্প্রতি তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৩ জুন দৌলত ওরফে গুন্ডা নামের এক বন্দি পেটে ব্যথার কারণে জেলের চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করাতে আসে। ২৪ জুন তীব্র পেটে ব্যথা অনুভব করায় দৌলতকে ম্যাকএএনএন টিচিং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তার পেটে একটি বিজাতীয় বস্তু আটকে থাকার বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষকে জানান। সংশোধানাগারের প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট পি রঙ্গনাথ অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। তিন জন চিকিৎসক দৌলতের অস্ত্রোপচার করেন। দৌলতের পেট থেকে একটি কিপ্যাড ফোন বার করে আনেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসার জন্য তাকে আইসিইউতে রাখা হয় এবং ৮ জুলাই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় দৌলতকে।
আরও পড়ুন:
২০২১ সালে শিবমোগায় তুঙ্গা নগর পুলিশ একটি গাঁজা পাচার চক্রের সন্ধান পায়। সেই মামলায় দৌলতকে গ্রেফতার করে। ২০২৪ সালে শিবমোগা আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তার পর থেকে সে শিবমোগা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি। দৌলতের পেটে মোবাইলটি কী ভাবে ঢুকল সেই তদন্তের জন্য রঙ্গনাথ তুঙ্গা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।