আবারও হিমাচলে প্যারাগ্লাইডিংয়ে দুর্ঘটনা। প্যারাগ্লাইডিং করার সময়ে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে মারা গেলেন ২৭ বছরের এক তরুণ। কাংড়া জেলার ধর্মশালার কাছে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বেসামাল হয়ে যায় প্যারাশুটটি। পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা লেগে মারাত্মক জখম হন গুজরাতের বাসিন্দা সতীশ রাজেশ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। হিমাচল প্রদেশে পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হল প্যারাগ্লাইডিং। ইন্দ্রু নাগ প্যারাগ্লাইডিং সাইট থেকে ওড়ার পরমুহূর্তে হাওয়ায় বেসামাল হয়ে যায় প্যারাশুটটি। সোজা খাদে গিয়ে পড়েন চালক ও পর্যটক। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
ছুটি কাটাতে গুজরাত থেকে হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন সতীশ। আকাশে ওড়ার শখ পূরণ করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়লেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে ‘নিখিলসাইনি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মাটি থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বেসামাল হয়ে যায় প্যারাশুট। পাইলট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। কিন্তু ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে আচমকা দমকা হাওয়ায় সেই প্যারাশুট বেসামাল হয়ে পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। প্যারাশুটটি ঘুরপাক খেতে খেতে নীচে নেমে আসে। দু’জনেই আছড়ে পড়েন খাদের মধ্যে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন সতীশ। প্রথমে তাকে ধর্মশালার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে কাংড়ার টান্ডা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে সোমবার তিনি মারা যান বলে খবর। পাইলটের নাম সুরজ, তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
শুধু তুষারপাতের টানেই নয়, রোমাঞ্চকর এই ‘স্পোর্টস’-এর জন্যও অনেক পর্যটক ছুটে যান কুলু, মানালিতে। কিন্তু প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার মুখেও পড়তে হয়েছে পর্যটকদের। এর আগেও প্যারাগ্লাইডিং করতে মৃত্যু হয়েছে বহু পর্যটকের। চলতি বছরের গোড়ার দিকে একই জায়গায় প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক তরুণী। তিনিও গুজরাতের বাসিন্দা ছিলেন।