স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই চোখের সমস্যা। দু’জনেই আক্রান্ত চোখের একই অসুখে, মায়োপিয়া। চোখের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে স্বামী গিয়েছিলেন চক্ষু চিকিৎসকের কাছে। সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করার পর এমন নিদান দিলেন সেই চিকিৎসক, যা শুনে হতবাক হয়ে যান রোগী। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। সম্প্রতি রেডিটে একটি পোস্ট করে তরুণ জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রীর মায়োপিয়ার সমস্যা রয়েছে । চোখের পরীক্ষা করাতে চিকিৎসকের ক্লিনিকে গিয়ে অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তাঁরা। চিকিৎসক যখন জানতে পারেন স্বামী-স্ত্রী চোখের একই রোগে ভুগছেন, তখন তিনি একটি মন্তব্য করে বসেন। চিকিৎসক জানান, দু’জনেই যখন একই রোগে আক্রান্ত তখন তাঁদের বিয়ে করা উচিত হয়নি।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকের এই পরামর্শ শুনে হতবাক হয়ে যান তরুণ। চিকিৎসক ওই দম্পতির কাছে জানতে চান, তাঁরা কোথা থেকে আসছেন? তার পর তিনি তরুণের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে ভয় ধরানো মন্তব্য করেন। দম্পতিকে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, যদি তরুণ তাঁর ‘স্ক্রিন টাইম’ কম না করেন, তা হলে তিনি গুরুতর সমস্যায় পড়বেন। তখন তরুণ জানান, তিনি তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁকে অন্তত ১০ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে সময় কাটাতে হয়। চিকিৎসক তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই পেশা তাঁকে ছাড়তেই হবে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে তরুণের স্ত্রীকে পরীক্ষা করার সময় চিকিৎসক তরুণকে ডেকে পাঠান। তাঁদের ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনারা কি কারও সঙ্গে পরামর্শ করেননি? মায়োপিয়ায় আক্রান্ত দু’জন ব্যক্তির বিয়ে করা উচিত নয়। আপনাদের সন্তানেরা অল্প বয়সেই কষ্ট পাবে।’’ সন্তানধারণের আগে ভাল ভাবে ভেবে দেখার কথাও জানান চক্ষু চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:
তরুণের পোস্ট দেখে বিপুল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। অনেকেই জানিয়েছেন, মায়োপিয়া কোনও জটিল সমস্যা নয়, চিকিৎসার মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তার সঙ্গে বিবাহ ও সন্তানধারণের কোনও যোগ নেই। এটি দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। দূরবর্তী বস্তুর দিকে তাকালে দৃষ্টি ঝাপসা দেখায়। মায়োপিয়া জিনগত কারণে ঘটতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শকে অবৈজ্ঞানিক, অপেশাদার বলে উল্লেখ করেছেন বহু নেটাগরিকই।