৮৭ বছর বয়সে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন খ্যাতনামী চিত্রকর। সন্তান কোলে আসতেই বাকি সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন অশীতিপর বৃদ্ধ। তাঁর বর্তমান স্ত্রীর বয়স ৩৭ বছর। ডিসেম্বরে তিনি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এই সন্তানকেই নিজের একমাত্র সন্তান বলে ঘোষণা করেছেন শিল্পী। সেই ঘটনার পরই শিল্পীর পারিবারিক কলহের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি চিনের। চিনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, শিল্পী ফ্যান জেং সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্মের ঘোষণা করেছেন। ফলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষও।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, ফ্যান ঐতিহ্যবাহী চিনা শিল্পকর্ম এবং ক্যালিগ্রাফির জন্য ব্যাপক ভাবে পরিচিত। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের নিলামে তাঁর ছবি ৫৬ কোটি ডলারে বিক্রি হয়েছে। তার বেশ কয়েকটি চিত্রকর্ম ১ কোটি ইউয়ানেরও (ভারতীয় মুদ্রায় ১২ কোটির বেশি) বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯১ সালের একটি চিত্রকর্মও রয়েছে। ২০১১ সালে বেজিঙের এক নিলামে ২৪ কোটি টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল সেটি। তাঁর হাতের ক্যালিগ্রাফিও অত্যন্ত মূল্যবান। প্রতি ০.১১ বর্গমিটারের দাম প্রায় ২ লক্ষ ইউয়ান বা ২৪ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই চিনা শিল্পী।
গত ১১ ডিসেম্বর, ফ্যান ঘোষণা করেন যে তাঁর স্ত্রী জু মেং একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সন্তানকে তাঁর ‘একমাত্র সন্তান’ বলে ঘোষণা করেন ফ্যান। পরিবারের অন্য সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে স্ত্রী এবং পুত্রকে নিয়ে একটি নতুন বাড়িতে চলে এসেছেন শিল্পী। বাকি জীবন তিনি জুয়ের সঙ্গে কাটাবেন ও পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তরুণী পত্নীকেই দিয়েছেন। ফ্যান ঘোষণা করেছেন যে, তিনি তাঁর মেয়ে ফ্যান জিয়াওহুই, সৎপুত্র ফ্যান ঝংদা এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চান না। কর্মক্ষেত্রে তাঁর নাম ব্যবহারের অনুমোদনও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ফ্যান।
আরও পড়ুন:
চিত্রশিল্পীর পরিবারের অভিযোগ, ফ্যানের সমস্ত সম্পত্তি হস্তগত করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সদ্যোজাত সন্তানের মা জু। বৃদ্ধকে পরিচালনা করেন এই তরুণী। শিল্পীর অনুমতি ছাড়া শিল্পকর্ম বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি। ২০০ কোটি ইউয়ানের (২৪০০ কোটি টাকা) মূল্যবান শিল্পকর্ম বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে জুয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী ফ্যানের মেয়ে। তবে ফ্যানের সংস্থা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে বলে খবর।