Advertisement
E-Paper

ফ্রিজে মৃত শিশুর দেহ রেখে পালান, গ্রেফতারও হন, তরুণীর করুণ কাহিনি শুনে সাজা কমাল আদালত

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণীর নাম হুয়াং। তিনি চিনের হংকঙের বাসিন্দা। ২০২১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য হংকং থেকে তাইওয়ানে চলে যান তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১২:৩৮
Hong Kong woman abandons stillborn in Taiwan hospital freezer, what court says

—প্রতীকী ছবি।

মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন। সেই শিশুকে হাসপাতালের ফ্রিজে রেখে পালিয়েও গিয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর হইচই পড়ে। মামলা দায়ের হয় তরুণীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতারও হন তিনি। তবে তরুণীর কাহিনি শুনে তাঁর সাজা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে তাইওয়ানে। কিন্তু কেন মৃত শিশুকে ও ভাবে ফেলে পালিয়েছিলেন তরুণী?

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণীর নাম হুয়াং। তিনি হংকঙের বাসিন্দা। ২০২১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য হংকং থেকে তাইওয়ানে চলে যান তিনি। ২০২২ সালে পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন হুয়াং। পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এর পর ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর তাইচুঙের একটি হাসপাতালে ২১ সপ্তাহের মৃত শিশুর জন্ম দেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর পর শিশুর দেহটি হাসপাতালের ফ্রিজ়ারে রেখে দেন হুয়াং। হাসপাতালে হুয়াং জানান, অন্যের হয়ে শেষকৃত্য করায় এমন একটি সংস্থাকে মৃতদেহ সৎকারের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। এ-ও জানান, তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই ফিরে আসবেন। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাজার চেষ্টা করেও হুয়াঙের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগে হুয়াংকে গ্রেফতার করে তাইওয়ানের পুলিশ। শিশুর দেহ ফেলে পালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। চলতি বছরের এপ্রিলে সেই মামলার শুনানি হয়। আদালতে হুয়াং দাবি করেন, শিশুর দেহ পরিত্যাগ করার কোনও ইচ্ছা তাঁর ছিল না। কিন্তু তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা সে কথা তিনি জানতেনই না। পেটের সমস্যার চিকিৎসা করাতে গিয়ে চিকিৎসকেরা তাঁকে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর কথা জানান। আদালতে হুয়াং বলেন, ‘‘আমি একা ছিলাম, বাড়ির বাইরেও ছিলাম। আমার কাছে টাকা ছিল না। সাহায্য করার মতোও কেউ ছিল না। খাবার কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল। সেই কারণেই আমি ওখান থেকে পালিয়ে আসি।’’

অন্য দিকে হুয়াঙের আইনজীবীর যুক্তি, শিশুর গর্ভ থেকে যা বেরিয়েছে সেটিকে মৃতদেহ বলা উচিত নয়। কারণ সেটির বয়স ২৪ সপ্তাহের কম ছিল। যদিও বিচারক উল্লেখ করেছেন, ভ্রূণটি একটি স্বতন্ত্র মানব আকারে বিকশিত হয়েছিল, যার দৈর্ঘ্য ২৮ সেমি এবং ওজন ০.৩৪৫ কেজি ছিল। আর সে কারণেই হুয়াংকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। যদিও আন্তর্জাতিক পড়ুয়া হিসাবে হুয়াংয়ের পরিস্থিতি, তাঁর আর্থিক ও মানসিক যন্ত্রণা এবং পূর্বের কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকায় তাঁর জরিমানা মকুব করেছে আদালত। জেলের সাজাও দু’বছর থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়।

Bizarre Incident Pregnancy Taiwan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy