পঞ্জাবের জলন্ধরের একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার পাকিস্তানি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ। চিপের মতো দেখতে সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে ওই জায়গা থেকে। ভাঙা ড্রোনটি স্থানীয় এক মহিলার বাড়ির উপর আছড়ে পড়েছিল। ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পোস্ট করা সেই ভিডিয়ো ভাইরালও হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এএনআইয়ের এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন সুরজিত কউর নামে ওই মহিলা। শোনাচ্ছেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানান পাক ড্রোনের হামলায় কী ভাবে তাঁর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুরজিতের কথায়, ‘‘আমাদের বাড়ির উপরে লাল রঙের একটা আলো এসে পড়ল এবং প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হল। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। চারদিক অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছিল। কিছু ক্ষণ পর আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখি আমাদের বাড়ির উপরে থাকা জলের ট্যাঙ্ক এবং আমাদের প্রতিবেশীদের জলের ট্যাঙ্ক ফেটে গিয়েছে। সমস্ত আলো নিভে গিয়েছিল।’’
আরও পড়ুন:
সুরজিতের অভিজ্ঞতা বর্ণনা দেওয়ার সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। হইচই পড়েছে ভিডিয়োটিকে কেন্দ্র করে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে ভারত এবং পাকিস্তান শনিবার সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। বিকেলে সে কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। তবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান আবার ‘শেলিং’ শুরু করে। চলে ড্রোন হামলা, বিস্ফোরণ। পরে রাতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও বিবৃতি দিয়ে জানায়, পাকিস্তান চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। তবে তার পর রাতের দিকে দুই দেশের মধ্যে গোলাগুলি বন্ধ হয়। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। নতুন করে আর গোলাবর্ষণ বা বিস্ফোরণ হয়নি।