Advertisement
E-Paper

কুকুরদের বিছানায় তুলতেন তরুণী! বন্ধ্যত্ব এবং মানসিক চাপের জন্য স্ত্রীর সারমেয়প্রেমকে দায়ী করে আদালতে যুবক

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে অহমদাবাদে বিয়ে করেছিলেন গুজরাতের ওই খ্রিস্টান দম্পতি। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর সংসার করার পর এখন স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন স্বামী।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৭
Man from Ahmedabad seeks divorce alleging wife’s stray dog love cause him erectile dysfunction and mental stress

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

বন্ধ্যত্ব এবং মানসিক চাপের জন্য দায়ী স্ত্রীর কুকুরপ্রেম! তেমনটাই দাবি করে বিচ্ছেদের জন্য গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক যুবক। অহমদাবাদের বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সি ওই যুবকের দাবি, প্রায়শই পথকুকুরদের বাড়ি নিয়ে আসতেন তাঁর স্ত্রী। এমনকি, সেই কুকুরদের সঙ্গে একই বিছানায় শুতে বাধ্যও করতেন। আগামী ১ ডিসেম্বর গুজরাত হাই কোর্টে ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে অহমদাবাদে বিয়ে করেছিলেন গুজরাতের ওই খ্রিস্টান দম্পতি। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর সংসার করার পর এখন স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন স্বামী। আদালতে যুবক দাবি করেছেন, স্ত্রীর কুকুরপ্রেম তাঁর বন্ধ্যত্ব এবং মানসিক চাপের জন্য দায়ী। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রীর পথকুকুরদের বাড়িতে আনার অভ্যাসের কারণে প্রচণ্ড ‘শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা’ ভোগ করেছিলেন তিনি। পথকুকুরেরা এসে তাঁদের বিছানায় শুয়ে থাকত। তিনি স্ত্রীর কাছে গেলেই চিৎকার করত কুকুরগুলি। এমনকি, তাঁকে কামড়ানোর চেষ্টাও করত। এক বার ওই যুবক স্ত্রীর পাশে শুতে গেলে একটি কুকুর তাঁকে কামড়ে দেয় বলেও অভিযোগ যুবকের।

পাশাপাশি আদালতে যুবক আরও অভিযোগ করেছেন, স্ত্রী তাঁকে কুকুরদের জন্য রান্না করতে এবং ঘর পরিষ্কার করতে বাধ্য করতেন। বাগ্‌বিতণ্ডা হলে তাঁর পিছনে কুকুর লেলিয়ে দিতেন স্ত্রী। কুকুরগুলিকে নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের কারণে পুলিশ তাঁকে ডেকেও পাঠিয়েছিল এক বার। আর এ সব কারণেই তিনি বন্ধ্যত্ব এবং মানসিক চাপের শিকার বলেও দাবি করেছেন যুবক। পাশাপাশি যুবক জানিয়েছেন, এক বার রেডিয়ো স্টেশনের মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন স্ত্রী। সে জন্যও তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় অসম্মানিত হতে হয়।

যদিও যুবকের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী। পারিবারিক আদালতকে মহিলা জানিয়েছেন, তিনি কখনও পথকুকুরদের বাড়ি নিয়ে আসতেন না। বরং, পথকুকুরদের জন্য নিবেদিত একটি অসরকারি সংস্থায় কাজ করার সুবাদে তাঁর স্বামীই কুকুরগুলিকে বাড়ি নিয়ে আসতেন।

বিচারপতি সঙ্গীতা কে. বিষেন এবং নিশা এম. ঠাকুরের ডিভিশন বেঞ্চ ১১ নভেম্বর উভয় পক্ষকে আদালতের বাইরে সমাধান বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। ১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।

Bizarre Bizarre Incident Divorce Case Gujarat High Court Stray Dog
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy