পাতা দিয়ে তৈরি চায়ে ফলের সমাহার। এক দেশোয়ালি চা বিক্রেতার তৈরি সেই অভিনব চায়ের ছোট্ট এক কাপ পেতে গেলে খরচ করতে হবে ২০০ টাকা! সেই চা বানানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে মুখ দিয়ে কথা সরছে না চায়ের অতি বড় নেশাড়ুরও।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। দেশের কোন শহরে ওই চায়ের দোকান তা-ও ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়। তবে চা বিক্রেতার চা বানানোর প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, চা বানানোর সময় এবং চা বানানোর পরে ক্রেতাদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনও।
চোখে ঝকঝকে রোদচশমা পরা ওই চা বিক্রেতার বুকে লেখা আইএএস চাওয়ালা। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে তাঁর সামনে একটি টেবিলে চায়ের প্যানে চা ফুটছে। সাধারণ রাস্তার ধারের দুধ দেওয়া চা যেমন হয়, ঠিক তেমনই সেই চা। কিন্তু এর পরেই রেসিপিতে নতুন উপকরণ জুড়তে শুরু করে। প্রথমে প্যানের ভিতরে একটি কলা ছাড়িয়ে ফেলে দেন ‘চা ওয়ালা’। তার পর তাঁকে একটি সবেদাও দিতে দেখা যায় চায়ের প্যানের ভিতরে। শেষে চা ঢালার স্টিলের একটি পাত্র সেগুলিকে চাপ দিয়ে ভেঙে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। চা বিক্রেতা সেই সময় ক্রেতাদের বলেন, ‘‘বেশি ফল দেওয়া যায় না। না হলে স্বাদটা বড্ড বেশি বদলে যায়।’’
ভিডিয়ো এর পরও এগিয়েছে। চা বিক্রেতাকে দেখা গিয়েছে, কলার খোসার মধ্যে কাগজের কাপ সাজিয়ে তাতে ওই ফলের রসসিক্ত চা ঢেলে দিতে। যার দাম ২০০ টাকা বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ভিডিয়ো দেখে এবং ওই দাম শুনে চমকে গিয়েছেন নেটাগরিকেরা।
তবে এক পক্ষ যখন এমন উদ্ভট চা বানিয়ে ২০০ টাকা লুটে নেওয়ার জন্য সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন ওই ‘চাওয়ালা’কে। তখন আর এক পক্ষ জানিয়েছেন, ‘এমবিএ চায়েওয়ালা’, ‘ইংলিশ অনার্স চাওয়ালি’ দেখার পর এমন দিন আর খুব বেশি দূরে নেই যখন আইএএস হয়েও চা বিক্রি করতে বাধ্য হবেন দেশের তরুণ প্রজন্ম। তাঁদের মতে, এই ভিডিয়োয় আসলে ওই ‘চাওয়ালা’ সেই কটাক্ষই করতে চেয়েছেন। হয়তো তিনি বেকারত্ব নিয়ে এ ভাবেই প্রশ্ন তুলতে চেয়েছেন শাসকের বিরুদ্ধে।
Isko zinda pakadna hai guys.. pic.twitter.com/3vzE0D8JE1
— Hasna Zaroori Hai(@HasnaZarooriHai) June 25, 2023