Advertisement
E-Paper

রাখির দিন ছুটি নিলে কাটা যাবে সাত দিনের বেতন! বসের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করে চাকরি গেল তরুণীর

অফিসের কোনও সহকর্মী যদি সে দিন ছুটি নেন অথবা অল্প সময় কাজ করে অফিস থেকে বেরিয়ে যান তবে তাঁর সাত দিনের বেতন কাটা যাবে বলে ঘোষণা করেন বস্‌।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৭
Punjab woman claims that her boss fired her over Rakhi leave

—প্রতীকী ছবি।

চার দিনের ব্যবধানে কিছুতেই ছুটি দিতে চাইছিলেন না বস্। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৫ অগস্ট ছুটি থাকলেও তিন দিন পর রাখি উপলক্ষে কারও ছুটি মঞ্জুর হবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ছুটি নিলে কাটা যাবে সাত দিনের বেতনও। কেউ যদি এই নিয়ম না মানেন তা হলে তাঁকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। বসের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে চাকরি হারালেন এক তরুণী। ঘটনাটি পঞ্জাবের মোহালি এলাকায় ঘটেছে। সেখানকার এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী ওই তরুণী। সমাজমাধ্যমে ওই তরুণী তাঁর বসের সঙ্গে বার্তালাপের কিছু স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)

সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তরুণী পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যাও করেছেন। তরুণীর দাবি, ১৫ অগস্ট তাঁর বস্ অফিসের সকল কর্মীকে ছুটি দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯ অগস্ট, অর্থাৎ সোমবার রাখি উপলক্ষে কাউকে ছুটি দিতে চাননি তিনি। উপরন্তু রাখির দিন অফিসে আসা আবশ্যক বলে জানিয়েও দিয়েছিলেন। অফিসের কোনও সহকর্মী যদি সে দিন ছুটি নেন অথবা অল্প সময় কাজ করে অফিস থেকে বেরিয়ে যান তবে তাঁর সাত দিনের বেতন কাটা যাবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। বসের এই দাবি যে নিয়মবিরুদ্ধ তা স্পষ্ট জানান ওই তরুণী। এক দিন ছুটি নিলে তার শাস্তি হিসাবে সাত দিনের বেতন কাটা যে অন্যায়, তা বস্‌কে জানান ওই তরুণী। তার পরেই মুশকিলে পড়েন। তরুণী পোস্টে লেখেন, ‘‘আমি যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম তখন আমার বস্ জানান যে, তিনি বেতন কাটতে বাধ্য। আমায় মেল দেখতেও বলেন তিনি।’’ বসের নির্দেশ মেনে মেল দেখার পর চমকে যান তরুণী। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার চিঠি পাঠানো হয়েছে মেলে। তরুণী লেখেন, ‘‘আমায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতারাতি আমার কাছ থেকে সমস্ত দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমি অফিসের কোনও কাজই করতে পারছি না।’’

তরুণীর এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সংস্থার তরফেও জবাব দেওয়া হয়। সংস্থার তরফের দাবি, ওই তরুণী নাকি অফিসের কাজ কখনওই মন দিয়ে করতেন না। কাজের সময় ফোন ঘাঁটতেন। এমনকি সন্তানের হোমওয়ার্কও তিনি অফিসে বসে করতেন। অফিসের অন্য সহকর্মীদের সংস্থার বিরুদ্ধে নানা রকম কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতেন বলেও অভিযোগ সংস্থার। অপেশাদার আচরণের জন্যই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।

Raksha bandhan Viral News
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy