এক তলা বা দোতলা পাকা বাড়ি, কোনওটায় আবার টিনের চাল। সে বাড়ির উপর দিয়েই ফুঁসতে ফুঁসতে এগিয়ে চলেছে জলধারা। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মণিপুর-সহ একাধিক রাজ্য। মণিপুরে ভারী বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মণিপুরের সমতল এলাকার দু’টি জেলা ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম। ফুলেফেঁপে উঠেছে একের পর এক নদী। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে বাড়িঘর। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই ভয় ধরানো একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে সেই জলের তোড়ে মুহূর্তে ভেসে গেল আস্ত বাড়ি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
‘নীতেশ দাবাদি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, বন্যার জলে ভেঙে পড়ছে টিনের ছাদওয়ালা একটি দোতলা বাড়ি। ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে উঠছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ধসে ভেসে গিয়েছে পাকা সড়কও। রাস্তার ধারের বাড়িগুলিও বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে, একটি ঝুলন্ত ব্রিজ জলের ঝাক্কায় প্রবল ভাবে দুলছে। সেই ব্রিজ ধরে পারাপার করার চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। ভিডিয়োগুলি দেখে শিউরে উঠেছেন নেটাগরিকেরা।
মণিপুরে প্রায় তিন হাজার মানুষ বিপর্যস্ত। গত ৪৮ ঘণ্টায় ভেঙে পড়েছে ৮৮৩টি বাড়ি। প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজ়োরাম, সিকিমে গত দু’দিনে দুর্যোগের কারণে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বহু এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হওয়ায় উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে ভারতের বায়ুসেনা এবং অসম রাইফেলসের আধিকারিকদেরও।