মাত্র এক পাউন্ড। ভারতীয় টাকায় হিসাব করলে মাত্র ১১৫ টাকা। সেই টাকায় আস্ত একটা ‘বাড়ি’ কিনে ফেলেছিলেন এক দম্পতি। মদ্যপ অবস্থায় ঝোঁকের মাথায় বব ক্যাম্পবেল নামের এক তরুণ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি ‘সাইলো’ (শস্য রাখার বড় কাঠামো) কিনে ফেলেছিলেন। তাতে সায় ছিল ববের বান্ধবী ক্যারল অ্যানের। ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের বাসিন্দা বব ও ক্যারল দু’জনে মিলে তাঁরা ঠিক করেন এই সাইলোটিকেই তাঁরা বাড়ির রূপ দেবেন। সাইলোটি হাতে পাওয়ার পর তারা এটির সংস্কারে উদ্যোগী হন। ক্যারলের ইচ্ছা ছিল তিনি এই সাদামাঠা শস্যভান্ডারটিকে এমন ভাবে সাজাবেন যা দেখে তাক লেগে যাবে সকলের। এ ছাড়াও বসবাসের জন্য যা যা প্রয়োজন সে সবেরই বন্দোবস্ত করেন তাঁরা।
বব এবং ক্যারল সাইলোটিকে বাড়িতে রূপান্তরিত করার জন্য প্রায় ৪ হাজার পাউন্ড (৪.৬ লক্ষ টাকা) খরচ করেছিলেন। পাঁচ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে তাঁরা এখনও এখানে বসবাস করছেন। বাড়ির ভেতরে বিছানা, বাথরুম এবং রান্নাঘরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও অন্দরসজ্জা দেখে মনে হতে পারে এক কামরার ছোট্ট একটি বাড়ি। সাইলোটিকে দু’টি তলায় ভাগ করে নিয়েছেন দম্পতি। উপরের তলায় তাঁদের শোয়ার ঘর। এক তলাতেই এঁটে গিয়েছে রান্নাঘর, বসার ঘর, খাওয়ার ব্যবস্থা।
সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বব ও ক্যারল জানান, তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে ফিরে যাবেন। সেই সময় পেরিয়ে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। ক্যারল প্রথমে এখানে বসবাস করার ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহী ছিলেন না। ধীরে ধীরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে কাটাতে কখন যে এতগুলি বছর পার করে ফেলেছেন তা জানেন না। রান্নাঘরে অভেন, কেটলি এবং সিঙ্কের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। সেখানে মশলা রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। শোবার ঘরটি উপরের তলায় অবস্থিত, একটি সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার ব্যবস্থা রয়েছে। দরজার পিছনে লুকোনো একটি বাথরুমও আছে। চার মিটার উঁচু এবং চার মিটার ব্যাসের সাইলোটি ধীরে ধীরে এই দম্পতি ছোট কিন্তু মনোমুগ্ধকর বাসস্থানে পরিণত করেছেন।