বয়স আঠারোর গণ্ডিও পেরোয়নি। তবুও বাড়ির গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে নাবালক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা প্রতিবেশীর বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারে সে। সময়মতো ব্রেক না কষায় প্রতিবেশীর বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে যায়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের দেবাস এলাকায় সোমবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ১৪-১৫ বছর বয়সি এক নাবালক বাড়ি থেকে তাদের এসইউভি নিয়ে পাড়ায় বেরিয়ে পড়েছিল। চালকের আসনে বসেছিল সেই নাবালকই। রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় এক বাইকচালককে ধাক্কা মারে এসইউভিটি। বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান চালক।
রাস্তায় সেই সময় ধীরেসুস্থে হেঁটে যাচ্ছিল একটি গরু। এসইউভি এমন ভাবে ছুটে আসছে দেখে গরুটিও দৌড়ে পালাতে শুরু করে। পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রেগে যান বাইকচালক। রাস্তায় বাইক ফেলে এসইউভির পিছনে দৌড়োতে শুরু করেন তিনি। নাবালকও সময়মতো গাড়িটির ব্রেক কষতে ব্যর্থ হয় । এসইউভিটি গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ির দেওয়ালে সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়েরা।
বাইকচালকও সেখানে গিয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। গাড়ির দরজা খুলে নাবালককে নেমে আসার জন্য হুমকি দেন। পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। নাবালককেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালকের অভিভাবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার মা পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘‘আমার ছেলে গাড়ি চালাতেই পারে। আপনাদের যা করার করে নিন।’’ ভিডিয়োটি দেখে নাবালকের বাবা-মাকে কটাক্ষ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘সন্তানদের জেনেবুঝে এমন বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনও অর্থ নেই। সঠিক বয়সে সঠিক জিনিস ব্যবহার করতে দিন।’’