Advertisement
E-Paper

লক্ষ্যপূরণ না করায় কান ধরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার শাস্তি! বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তরুণের, ভাইরাল ভিডিয়ো

লক্ষ্যপূরণ করতে না পারায় শাস্তি পেতে হয় তরুণকে। তবে ৫০ বার নয়, সে সংখ্যা কমিয়ে ১০-এ নিয়ে যান তাঁর ম্যানেজার। বসের নির্দেশ মেনে কান ধরে ১০ বার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন তরুণ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৫ ১৭:৪৭

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

চাকরির প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এক বছর ধরে কাজ করছেন তরুণ। কিন্তু তাঁর বসের কড়া শাসনের জন্য নাকি মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এমনই অভিযোগ তুলেছেন সেই তরুণ (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

‘পীযূষ কুমার’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লিঙ্কডইনের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক জন তরুণ কান ধরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করছেন। ক্যামেরার ও পারে দাঁড়িয়ে এক তরুণী গুনছেন যে, কত বার কান ধরে সিঁড়ির পাক ঘুরলেন সেই তরুণ। তরুণের দাবি, গুরুগ্রামের এক চাকরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কাজ করেন তিনি। প্রতি দিন ৫০ জন পড়ুয়াকে ভর্তি করাতে হবে সেই তরুণকে।

যদি সেই লক্ষ্যপূরণ না হয় তবে কান ধরে ৫০ বার সিঁড়ি ওঠানামা করতে হবে। সাদা কাগজে তরুণকে দিয়ে এমনটাই লিখিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর তরুণী ম্যানেজার। লক্ষ্যপূরণ করতে না পারায় সেই শাস্তিই পেতে হয় তরুণকে। তবে ৫০ বার নয়, সেই সংখ্যা কমিয়ে ১০-এ নিয়ে যান তরুণী ম্যানেজার। বসের নির্দেশ মেনে কান ধরে ১০ বার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন তরুণ। এই মুহূর্তের ভিডিয়ো অফিসের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তরুণের দাবি, অন্য সহকর্মীর মনে ভয় ধরানোর জন্য তাঁর কান ধরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার ভিডিয়ো গ্রুপে দিয়েছিলেন ম্যানেজার। এই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।

ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সংস্থার মানব সম্পদ বিভাগের কর্তার কাছে অভিযোগও জানান তিনি। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয় না। সংস্থার তরফে ওই তরুণের অফিসের মেল আইডি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তরুণের দাবি, বহু চে‌ষ্টার পর সংস্থার অধিকর্তার সঙ্গে বৈঠকের অনুমতি পান তিনি। কিন্তু সব জানার পর তরুণের অভিযোগ হাওয়ায় উড়িয়ে দেন অধিকর্তা। তাঁর মতে, তরুণের অভিযোগ গুরুতর নয়। তরুণের ফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে অভিযোগ তুলে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

তার পর জোর করে তরুণকে গাড়িতে চাপিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তরুণের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়। পুলিশের কাছে মার খেয়ে বাধ্য হয়ে ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তরুণ। স্বীকারোক্তি নেওয়া হয় যে, সম্পূর্ণ মজা করে তরুণের ভিডিয়ো করা হয়েছে।

যদি এই প্রসঙ্গে কোনও সহকর্মীর সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন তা হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তরুণের। থানা থেকে তরুণের ফোন ফেরত দিলে তিনি দেখেন যে, সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ব্যক্তিগত কিছু তথ্যও সরিয়ে ফেলা হয়েছে ফোন থেকে। সম্পূর্ণ ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন সেই তরুণ। তবে তরুণের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংস্থার অধিকর্তা। তাঁর মতে, সংস্থার খ্যাতি নষ্ট করার জন্য এমন অপপ্রচার করছেন তরুণ। ভিডিয়োটি মজা করে বানিয়েছিলেন অফিসের সহকর্মীরা। সেই ভিডিয়োর ব্যবহার অন্য ভাবে করেছেন তরুণ।

Viral Video Gurugram gurgaon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy