হ্যালোউইন উপলক্ষে দোকানের ভিতর সাজানো হয়েছে। কোথাও রাখা হয়েছে বিকৃত সব মূর্তি, কোথাও আবার নিত্যব্যবহারের জিনিস দিয়ে ভয়ঙ্কর পুতুল তৈরি করা হয়েছে। হ্যালোউইনের আগে কেনাকাটি করতে পোষ্য বাঁদরকে নিয়ে সেই দোকানে গিয়েছিলেন এক তরুণ। কিন্তু হ্যালোউইনের জন্য সাজানো ভয়ানক পুতুল দেখেই পিলে চমকে গেল পোষ্য বাঁদরের। ভয়ে শূন্যে লাফ দিয়ে উঠল সে। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে তাকে নীচে নামালেন তরুণ। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘কলিন রাগ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, একটি বাঁদর ডায়পার পরে দোকানের সিলিংয়ের উপর লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনও সিলিংয়ে লেজ পেঁচিয়ে উল্টো হয়ে ঝুলে পড়ছে, কখনও আবার সিলিং বেয়ে দোকানময় ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। কিন্তু নীচে নামার নাম করছে না বাঁদরটি। সম্প্রতি এই ঘটনাটি টেক্সাসের প্লানোর একটি দোকানে ঘটেছে। পোষ্য বাঁদরকে ঘাড়ে বসিয়ে সেই দোকানে গিয়েছিলেন এক তরুণ।
হ্যালোউইন উপলক্ষে দোকানটি সাজানো হয়েছিল। হ্যালোউইনের ‘ভূত’ দেখে ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছা়ড়া অবস্থা হয়ে যায় বাঁদরের। তরুণের ঘাড় থেকে শূন্যে লাফিয়ে ওঠে সে। তার পর দোকানের সিলিংয়ে উঠে সেখানেই ঘোরাঘুরি করতে থাকে। বাঁদরটির পরনে ছিল ডায়পার। সেই অবস্থাতেই দোকানের সিলিংয়ে লাফালাফি করতে থাকে সে।
আরও পড়ুন:
নীচে নামলেই তাকে ‘ভূতে’ ধরতে পারে, সেই ভয়ে আর মালিকের কাছেও যাচ্ছিল না বাঁদরটি। তরুণ তাঁর পোষ্যকে সাধাসাধি করলেও বাঁদরটির ভয় কাটছিল না। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে বাঁদরটিকে নীচে নামানো হয়। দোকানের কর্মীর দাবি, বাঁদরটি ভয় পেয়ে দোকান জুড়ে লাফালাফি করছিল ঠিকই, কিন্তু দোকানের কোনও ক্রেতাকে আক্রমণ করেনি সে। এমনকি, দোকানের কোনও জিনিসও ভাঙচুর করেনি বাঁদরটি।