মাঠের ভিতর বসেছিল একটি বাঘ। তার সামনে বসে পড়লেন এক তরুণ। বাঘের নাকে চুমু এঁকে দেওয়ার জন্য ঠোঁট বাড়িয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু তরুণের কাছে চুমু খেতে চাইছিল না বাঘটি। মুখ হাঁ করে তরুণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাঘটি। তরুণও সেই বাঘের মুখে তাঁর হাত ঢুকিয়ে দিলেন। তরুণের হাতে আদর করে কামড় বসিয়ে দিল বাঘটি। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘নওমান.হাসান১’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, একটি বাঘকে আদর করছেন এক তরুণ। পাল্টা আদর ফিরিয়ে দিতে তরুণের হাতে হালকা ভাবে কামড়ও বসিয়ে দিল বাঘটি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই তরুণ আসলে পাকিস্তানের বাসিন্দা। পেশায় বিষয়স্রষ্টা (কন্টেন্ট ক্রিয়েটর) তিনি। মাঠের মধ্যে একটি বাঘ বসেছিল। তার সামনেই এক হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন তরুণ। বাঘের মাথায়, গলায় হাত বুলিয়ে আদর করতে শুরু করলেন তিনি।
বাঘের নাকের উপর চুমু খাবেন বলে ঠোঁট বাড়িয়ে দিলেন তরুণ। বাঘটিও আহ্লাদে আটখানা হয়ে পা ছুড়তে লাগল। তরুণের হাতে আদর করে কামড়ও বসিয়ে দিল সে। বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে তার মুখ থেকে হাত ছাড়িয়ে নিলেন তরুণ। সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়োটি ছড়িয়ে যাওয়ার পর কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তরুণ।
কারণ বাঘটির গলা চেন দিয়ে বাঁধা ছিল। বন্যপ্রাণীদের এমন বন্দি বানিয়ে রাখা অনুচিত তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। আবার কেউ কেউ তরুণের সাহসের প্রশংসা করেছেন। এক জন লিখেছেন, ‘‘বাঘের এত কাছাকাছি যাওয়ার আগেই মনে হয় আমি অজ্ঞান হয়ে যেতাম। আপনি আবার আদর করছেন! সাহস তো কম নয়!’’