সকাল থেকেই অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি লেগে রয়েছে এক শিক্ষিকার। কিন্তু সেই অশান্তি যে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি দু’জনে। বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষ এবং শিক্ষিকার চুলোচুলির ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অধ্যক্ষের নাম প্রবীণ দাহিয়া। শিক্ষিকার নাম মধুরানি। বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের কাজ সামলান তিনি। জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার সকালে অধ্যক্ষের সঙ্গে কাজ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল মধুরানির। দু’জনের অশান্তি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। শিক্ষিকার গালে ঠাস করে চড় মারেন অধ্যক্ষ। তার পরেই রেগে আগুন হয়ে যান মধুরানি। চুলের মুঠি ধরে অধ্যক্ষকে মারতে শুরু করেন তিনি। হাত চালাতে থাকেন অধ্যক্ষও।
চুলোচুলি চলাকালীন দু’জনের হাত থেকেই তাঁদের মোবাইল ফোন মাটিতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী এই দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন। শনিবার বিকেলে সেই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তে তা নজর কাড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, শিক্ষিকা বার বার অধ্যক্ষকে মারধর করতে করতে প্রশ্ন করেন, ‘‘তোমার সাহস কী করে হল আমার গায়ে হাত তোলার?’’ দু’জনের ঝামেলা মেটাতে সেখানে হাজির হন এক মহিলা। বার বার অনুরোধ করে তিনি শিক্ষিকাকে বলতে থাকেন, ‘‘ছেড়ে দিন। ম্যাডামের লেগে যাবে।’’
আরও পড়ুন:
মহিলার চেষ্টায় দু’জনের মারপিট থেমে যায়। অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওড়না চেয়ে তা গলায় জড়িয়ে নেন অধ্যক্ষ। ভিডিয়োটি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়তেই দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। আপাতত দু’জনকেই নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। তদন্ত করে জানা গিয়েছে যে, তাঁদের মধ্যে কাজ নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় এই অশান্তি শুরু হয়েছিল। তদন্তের রিপোর্ট দিল্লির উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।