চোখেমুখে আতঙ্ক, উর্দিপরা সেনাদের দেখে জঙ্গি ভেবে ভুল করলেন সন্ত্রস্ত পর্যটকেরা! আশ্বস্ত করলেন জওয়ানেরা

পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনার পর আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছেন বাকি পর্যটকেরা। ভূস্বর্গে স্বপ্নসফরের বদলে চোখের সামনে শুধুই রক্ত। তীব্র কানফাটানো গুলির শব্দে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গের উপত্যকা। পার পায়নি ছোট্ট ছোট্ট শিশুরাও। তাদেরও বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে দিতে হয়েছে অগ্নিপরীক্ষা। প্রাণভিক্ষা পেলেও ঘটনার অভিঘাতে কেঁপে কেঁপে উঠছে তারা। হামলার পর পর্যটকদের উদ্ধারকাজে ভারতীয় সেনারা এলেও তাঁদের আতঙ্ক কমেনি। সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে একটি ভিডিয়োয়। আনন্দবাজার ডট কমের হাতে এসেছে সেই ভিডিয়ো।

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ঘটনার পর পাথুরে জায়গায় জটলা করে বসে রয়েছেন কয়েক জন পর্যটক। চোখেমুখে স্পষ্টতই আতঙ্কের ছাপ। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ভারতীয় সেনাবাহিনী। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল মাত্র চার থেকে ছ’জন জঙ্গি! স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গিদের পরনে ছিল পুলিশের পোশাক। কেউ কেউ আবার সেনার পোশাক পরেও এসেছিল। সেই একই পোশাক দেখে প্রথমে তাঁদেরও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না পর্যটকেরা। হাতজোড় করে প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভিক্ষা চাইতে থাকেন অনেকে। তাঁদের আশ্বস্ত করেন সেনারা। ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে জানান তাঁরা। সেনা জওয়ানদের কাছে নিজেদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করতে শুরু করেন এক তরুণ। তাঁর পাশে বসে থাকা এক নাবালক সমানে কেঁদে চলেছে।

দূর থেকে একদল পর্যটক সেনাদের দেখে আতঙ্কে আবার চিৎকার জুড়ে দেন, তাঁদেরও আশ্বাসবাণী দিয়ে শান্ত হতে অনুরোধ জানান সেনারা। ভয়াবহ অভি়জ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক তরুণী। সকলকে শান্ত হয়ে বসার জন্য বলতে থাকেন জওয়ানেরা। ভিডিয়োটি এখানেই শেষ হয়ে যায়। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরাও এই ভিডিয়ো দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক জন লিখেছেন ‘‘কতটা ভয়াবহ এ অভিজ্ঞতা, সেনা এলেও তাঁদের পোশাক পরিহিত জঙ্গি বলে বোধ হচ্ছে,শিউরে উঠতে হয়।’’