বদ্ধ কামরায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। থামানোর চেষ্টা করছিল দুই নাবালিকা কন্যা। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শীঘ্রই পরিণত হল গার্হস্থ্য হিংসায়। স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন যুবক। প্রতিবাদ জানালে জোটে আরও মার। চুপ করে থাকেনি দুই কন্যা। চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে আটকানোর চেষ্টা করল তারা। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। খাটের উপর বসে ফোন ঘাঁটছেন মহিলা। নীচে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বামী। তাঁদের মধ্যে ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করছে নাবালিকা দুই কন্যা। কিন্তু দম্পতির মধ্যে ঝামেলা চরমে পৌঁছোলে স্ত্রীর গালে সপাটে চড় মারেন যুবক। সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে কাঁদতে শুরু করে তাঁদের কন্যারা। আটকানোর চেষ্টা করেন বাবাকে। অন্য দিকে, চড় খেয়ে যুবকের স্ত্রীও ঝাঁঝিয়ে ওঠেন। পাল্টা হাত চালান। এর পর ঝাঁপিয়ে পড়েন যুবক। গলা টিপে ধরেন স্ত্রীর। দুই কন্যাও মাকে মার খাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘কিম জং উন’ নামের একটি প্যারোডি অ্যাকাউন্ট থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। পোস্টে দাবি করা হয়েছে, যে মহিলাকে মার খেতে দেখা গিয়েছে তিনি নিশা কুমারী। বিহারের গয়ার বাসিন্দা। সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারেই তিনি মারা গিয়েছেন। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োটি নাকি মৃত্যুর আগে নিশার উপর তাঁর স্বামীর অত্যাচারের ভিডিয়ো। ভিডিয়োটি দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। নিশার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘জঘন্য। কী ভাবে মারছে! এই সব মানুষকে কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘এরা বিয়ে করার যোগ্য নয়। যত ক্ষমতা সব স্ত্রীর উপর জাহির করবে। জানোয়ার কোথাকার।’’