মায়ের কাছে চিপ্স খাওয়ার জন্য বায়না জুড়েছিল ৮ বছরের বালক। চিপ্স কেনার জন্য ২০ টাকা চাইছিল সে। কিন্তু মায়ের কড়া শাসন। সন্তানকে কিছুতেই চিপ্স খেতে দেবেন না তিনি। সন্তান অবাধ্য হয়ে জেদ ধরলে তাকে কড়া শাসন করেন মা। সঙ্গে যোগ দেয় বালকের দিদিও। রেগেমেগে পুলিশকে ফোন করে কেঁদে ভাসিয়ে দিল সেই বালক। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘কমেডিকালচার.ইন’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক পুলিশ আধিকারিক গাড়িতে বসে রয়েছেন। গাড়িতে বসে এক বালকের সঙ্গে ফোনের স্পিকার চালু করে কথা বলছেন তিনি। আট বছরের এক বালক মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য পুলিশকে ফোন করেছে।
এই ঘটনাটি সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সিংরৌলি জেলার চিতারওয়াই কালা গ্রামে ঘটেছে। পুলিশ আধিকারিকের নাম উমেশ বিশ্বকর্মা। কর্মরত অবস্থায় একটি ফোন আসে উমেশের কাছে। ফোন তুলে এক ক্রন্দররত বালকের গলা শুনতে পান তিনি। বড় বিপদের আশঙ্কা করে বালকটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন উমেশ। কিন্তু আসল কারণ শুনে চমকে যান তিনি।
মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পুলিশের আপৎকালীন নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করেছে ৮ বছর বয়সি ওই বালক। বালকের ‘গুরুতর’ অভিযোগ, মায়ের কাছে চিপ্স খেতে চেয়েছিল সে। চিপ্স কেনার জন্য ২০ টাকাও চেয়েছিল মায়ের কাছে। কিন্তু তার মা টাকা দেননি। তার বদলে ছেলেকে নাকি উত্তম-মধ্যম পিটিয়েছেন। মায়ের পাশাপাশি ওই বালকের দিদিও তাকে মারধর করেছে বলে দাবি।
আরও পড়ুন:
মা এবং দিদির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নালিশ করে সেই বালক। বালকের মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চান উমেশ। কিন্তু সে কথা শুনে বালক আরও জোরে কান্নাকাটি করতে শুরু করে। বালককে শান্ত হয়ে বসে থাকার জন্য অনুরোধ করেন উমেশ। ফোন পাওয়ার কিছু ক্ষণ পর বালকের বাড়িতে যান তিনি। বালককে চিপ্স কিনে দেন উমেশ। তার মাকেও মারধর করতে বারণ করেন।