পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস কী ভাবে দখল করলেন বিদ্রোহীরা? মঙ্গলবার কী ভাবেই বা তাঁরা আক্রমণ করলেন এক্সপ্রেস ট্রেনে? প্রকাশ্যে এল সেই ভিডিয়ো। অন্তত তেমনটাই দাবি করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয়। সেই ভিডিয়োয় ট্রেনের উপর হামলা এবং সেটিকে অপহরণ করার দৃশ্য ধরা পড়েছে। ধরা পড়েছে ট্রেনের যাত্রীদের বন্দি করার দৃশ্যও। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
দাবি করা হচ্ছে, এটিই জাফর এক্সপ্রেসে হামলা এবং বোমা বিস্ফোরণের প্রথম ভিডিয়ো। তবে, পাক সরকার বা বালুচ বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। ভাইরাল ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি ট্রেন পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যা বালুচিস্তানের একটি অঞ্চল বলে মনে হচ্ছে। কিছু ক্ষণ যাওয়ার পর ট্রেনের সামনের বগির কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় চার দিক। একটু এগিয়ে ট্রেনটি থেমে যায়। ভিডিয়োয় এর পরের অংশে ট্রেনের সামনে কয়েক জন সশস্ত্র ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। যাত্রীদের ট্রেনের বাইরে বার করে এনে বন্দি করার দৃশ্যও সেই ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন:
বুধবার দুপুরে ‘গিদ্রোশিয়ান বালুচ’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। ভিডিয়োটিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বালুচিস্তানের কাচ্চি জেলার বোলান এলাকায় একটি সুড়ঙ্গে ঢোকার মুখে যখন জাফর এক্সপ্রেসটিকে অপহরণ করা হয়, তখন ওই ট্রেনে ছিলেন অন্তত ৪৫০ জন। বুধবার পর্যন্ত ১৫০ জন যাত্রীকে বিদ্রোহীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৭ বিদ্রোহী। এই আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। যাত্রীদের পণবন্দি করে তারা পাকিস্তানের জেল থেকে বন্দি বিনিময়ের দাবি জানিয়েছে। বিএলএ-র অনেক সদস্যকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করে জেলবন্দি করা হয়েছে। তাঁদের ফেরত চায় সংগঠনটি। সেই উদ্দেশ্যেই ট্রেন অপহরণ। পাক সরকার বিএলএ-র দাবির বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। এই ধরনের দাবি অতীতে একাধিক বার পাক সরকার নাকচ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, বালুচিস্তানের বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, ১০ জন পণবন্দিকে হত্যা করা হয়েছে। এখনও তাঁদের দখলে মহিলা ও শিশু-সহ ২১৪ জন। পাক নিরাপত্তাবাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তানের সরকারের তরফে এই আক্রমণকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানিয়েছেন, বালুচিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীকে সাহায্য করতে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।