সমাজমাধ্যমে প্রায়শই অ্যাপ ক্যাব এবং বাইক সম্পর্কিত নানা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কখনও তা ইতিবাচক ভাবে শেষ হয়। আবার কখনও তা গ্রাহক বা চালকের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। তেমনই এক ঘটনার অভিজ্ঞতা লিঙ্কডইনে ভাগ করে নিয়েছেন জয়পুরের বাসিন্দা আয়ুষী। অফিস থেকে ফেরার পথে তিনি অ্যাপ বাইক বুক করে যে ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তা জানিয়েছেন সমাজমাধ্যমে।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় একটি অ্যাপ বাইক বুক করেছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছোনোর আগে পেট্রল ফুরিয়ে যাওয়ায় চালক বাইকটি থামিয়ে দেন। তাঁর কাছে দু’টি বিকল্প পথ খোলা ছিল। রাইডটি শেষ করে অন্য একটি ক্যাব বুক করা। অথবা চালকের সঙ্গে কাছের পেট্রল পাম্পে গিয়ে জ্বালানি ভরে আবার যাত্রা শুরু করা। তরুণী দ্বিতীয়টি বেছে নিয়েছিলেন।
পেট্রল পাম্পে যাওয়ার জন্য তাঁকে এক কিলোমিটার হাঁটতে হয় বলে জানিয়েছেন আয়ুষী। বাড়ি ফিরতে আধ ঘণ্টা দেরিও হয়ে যায় তাঁর। তেল ভরার পর আবার বাইকে চড়ে যাত্রা শুরু করেন আয়ুষী। তরুণী জানান, বাইকচালক তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দেন। অ্যাপের ভাড়া দেখিয়েছিল ১০১ টাকা। তিনি টাকা দিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করেন। এমন সময় পিছন থেকে বাইকচালক তাঁকে জানান ভাড়া বেড়ে গিয়ে ১০৮ টাকা হয়ে গিয়েছে। তাতে তরুণী কিছুটা অবাক হন। চালককে কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি এর সদুত্তর দিতে পারেননি। পেট্রল পাম্পে যাওয়ার কারণে ভাড়া বেশি হয়েছে কি না জানতে চাওয়ায় দায়সারা ভাবে চালক উত্তর দেন, হয়তো সে কারণে ভাড়া বেড়ে গিয়েছে। দেরি হয়ে গেলেও তরুণী বিনা বাক্যব্যয়ে বাকি টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যান।
আরও পড়ুন:
পরে বাড়িতে তাঁর মায়ের কাছে নিজের খারাপ লাগার কথা তুলে ধরেন। তরুণীর মা তাঁকে জানান, মাঝেমাঝে মানুষ তাঁদের নিজেদের সমস্যায় এতটাই ডুবে যায় যে চারপাশের ভালটা দেখতে পায় না। তরুণী পোস্টে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁর শিক্ষা হয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন, সহানুভূতি কোনও দেনা-পাওনার অংশ নয়। সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা মানুষ প্রায়শই অন্যদের প্রতি সহানুভূতি অনুভব করেন না। লিঙ্কডইন পোস্টটিতে ২ হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে। এক জন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘এটি চোখ খুলে দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা।’’ অন্য এক জনের মন্তব্য, ‘‘সহানুভূতিশীলদের সমস্যা এটাই। আমাদের প্রত্যাশা কমাতে হবে।’’ অন্য এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী চালককে সমর্থন করে লিখেছেন, ‘‘যদি আপনি ৭ টাকা না দিতেন, তা হলে তাঁর ব্যালেন্স অ্যাপে একটি মাইনাস চিহ্ন দেখাত। এই কাজই তাঁর জীবিকা।’’