প্রেম করে বিয়ে। বিয়ের আগে থাকতেন ভিন্ন শহরে। প্রেমিককে নিয়ে মনে সন্দেহ ছিল তরুণীর। বিয়ের পরেও সেই সন্দেহ কমেনি। স্বামী অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেই তাঁকে ‘বন্দি’ বানিয়ে ফেলেন তরুণী। তার পর যন্ত্রের তার দিয়ে বেঁধে ফেলেন স্বামীর হাত। একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁর স্বামীকে। কোনও প্রশ্নের ভুল উত্তর দেওয়ার উপায় নেই তরুণের। কারণ, ভুল উত্তর দিলেই যন্ত্র জানিয়ে দেবে। প্রতি রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতে এ ভাবেই ‘লাই ডিটেক্টর টেস্ট’ দেন তরুণ। প্রতিটি পরীক্ষায় পাশ করে যান তিনি।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিদেশিনি তরুণীর নাম ডেবি উড। কয়েক বছর ধরে স্টিভ নামে এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। পরে মনের মানুষকেই বিয়ে করেন ডেবি। স্টিভের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে ডেবি অন্য যে সব সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে ভাল মুহূর্ত যাপন করেননি ডেবি।
সম্পর্ক থেকে আঘাত এবং বিশ্বাসঘাতকতাই পেয়েছেন তিনি। তাই সম্পর্ক নিয়ে সব সময় মনের মধ্যে ভয় দানা বেঁধে থাকে। ইচ্ছা করলেও স্টিভের প্রতি ভরসা রাখতে পারেন না তিনি। ডেবির সঙ্গে আলাপের আগে অন্য এক মহিলাকে কিছু দিন ডেট করেছিলেন স্টিভ। কিন্তু তা ছিল ক্ষণস্থায়ী। পরে ডেবির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাঁকে বিয়ে করে ফেলেন স্টিভ।
আরও পড়ুন:
বিয়ের আগে ভিন্ন শহরে থাকতেন তাঁরা। স্টিভকে নিয়ে তখনও সন্দেহ করতেন ডেবি। মাঝেমধ্যেই স্টিভের প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি লাগত। কিন্তু বিয়ের পরেও সেই সন্দেহ মন থেকে যায়নি ডেবির। স্টিভের সততার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পলিগ্রাফ যন্ত্র কেনেন তরুণী। স্টিভকে সে কথা জানাতে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন যে, ডেবি মনে হয় মজা করছেন। কিন্তু ডেবির কাছে এই পরীক্ষাই ছিল সব কিছু।
স্টিভ বাড়ি ফেরার পর সেই যন্ত্রের সামনে তাঁকে বসিয়ে দেন ডেবি। তার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতে থাকে দু’জনের মধ্যে। ডেবির প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেন স্টিভ। প্রতি রাতে ‘লাই ডিটেক্টর টেস্ট’-এ পাশ করে যান স্টিভ। প্রতি দিন সত্য কথা বলে ডেবির বিশ্বাস ধীরে ধীরে অর্জন করার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে স্ত্রীর আচরণে বিন্দুমাত্র বিরক্ত হন না স্টিভ। তাঁর দাবি, ডেবির সঙ্গে তিনি ভাল সময় কাটান।
অতীতের কিছু অভিজ্ঞতার কারণে ডেবি এমন আচরণ করেন। ডেবির বিশ্বাস অর্জন করতে চান স্টিভ। তাই সব রকম ভাবে ডেবিকে সাহায্য করতে চান তিনি। স্টিভ আরও জানান, আগে প্রতি রাতে নিয়ম মেনে তাঁর পরীক্ষা করতেন ডেবি। কিন্তু এখন তার পরিমাণ কমিয়েছেন স্টিভের স্ত্রী।