অপেক্ষা: শহিদ মিনার চত্বরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে উচ্চ-প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে ৩৫৬ দিন পূর্ণ হল। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সোমবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখালেন ধর্মতলায়। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
কালো পোশাক পরা চাকরিপ্রার্থীরা মানববন্ধন করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ডোরিনা ক্রসিংয়ে। অন্য দিকে, মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা সেখানেই রাস্তায় রয়েছেন শুয়ে। তাঁদের কাতর প্রশ্ন, আর কত দিন একটা নিয়োগের অপেক্ষায় তাঁরা থাকবেন? এ বার নিয়োগ চাই। এ ভাবেই সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ-প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ-অবস্থানে কিছু ক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে থাকল ডোরিনা ক্রসিং।
এ দিন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বসে থাকার ৩৬৫ দিন পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষে এ দিন দূরের জেলাগুলি থেকেও উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা এসে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের প্রশ্ন, ২০১৬ সালে যে বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল, সেই বিজ্ঞপ্তির এখনও নিয়োগ হল না কেন?
সম্প্রতি সল্টলেকের করুণাময়ীতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং শেষ হয়েছে। মেধা তালিকার ১৩৩৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে দু’দফায় কাউন্সেলিং হয়েছে ৮৮৪৫ জনের। অপেক্ষমাণ প্রার্থী রয়েছেন ৪৪৮৯ জন। তবে যাঁদের কাউন্সেলিং হয়েছে, তাঁরা এখনও সুপারিশপত্র পাননি। তাঁরা শুধু স্কুল নির্বাচন করতে পেরেছেন। চাকরিপ্রার্থীরা দাবি তোলেন, শুধু স্কুল নির্বাচন নয়, তাঁদের দ্রুত সুপারিশপত্র দিতে হবে। তার পরে দ্রুত নিয়োগপত্র দিতে হবে।
যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে। আদালত এখনও এই চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র দিতে বলেনি। আদালতের নির্দেশেই চাকরিপ্রার্থীদের শুধু স্কুল নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশেই নিয়ম মেনে কাউন্সেলিং হয়েছে।’’
সূত্রের খবর, ১০২৫ জন চাকরিপ্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে আসেননি। কাউন্সেলিংয়ে এসে স্কুল নির্বাচন করতে অস্বীকার করেছেন ৯২ জন। এক চাকরিপ্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘অনুপস্থিত থাকা এবং চাকরি নিতে অস্বীকার করায় যে শূন্য পদগুলি তৈরি হল, তাতে কয়েক দিনের মধ্যে পরের কাউন্সেলিং শুরু করতে হবে। আমাদের হিসাব মতো পরের দফায় কাউন্সেলিংয়ে ওয়েটিং লিস্ট থেকে ২৫০০-এর কিছু বেশি জনকে ডাকা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy