ঘোষণার দু’দিনের মাথায় ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের বিশদ ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, প্রকল্পের সামগ্রিক খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বেশির ভাগ জুড়েই ছিল কৃষক ও কৃষি-সমস্যার প্রসঙ্গ। সেখানেই প্রকল্পের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যা বলা হয়েছে, তার জন্যই ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে আমি আর কিচ্ছু দিতে পারব না। প্রচুর স্কিম দিয়েছি। আমাকে বিক্রি করলেও আর কিছু পাওয়া যাবে না!’’
গত ৩১ ডিসেম্বর, ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলেই ২ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করবে সরকার। পাশাপাশি, কোনও একটি চাষের জন্য একর প্রতি দু’দফায় বছরে মোট পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে কৃষককে।
আরও পড়ুন: পোশাক ছিঁড়ে নিগ্রহ তরুণীকে, প্রহৃত সঙ্গীও
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, ইতিমধ্যেই চাষিদের খাজনা মকুব করা হয়েছে। চাষের জমি মিউটেশন করার জন্য এখন আর কোনও ফি দিতে হয় না। এ বার কৃষকের মৃত্যু হলে ১৫ দিনের মধ্যেই প্রকল্পের সুবিধা পাবে সংশ্লিষ্ট পরিবার। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে চেক ড্যাম তৈরি করেছে। আগামী দিনে আরও দু’হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সেচ ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা হবে। এই সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ বলে দাবি মমতা।
আরও পড়ুন: ‘সরকারি অফিসে এসে মানুষকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়’, নির্দেশ মমতার
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, শুধুমাত্র ধান, গম, সর্ষে, আলু চাষেই নয়, ফল এবং আনাজ চাষেও প্রচুর খরচ করছে উদ্যানপালন দফতর। তার বড় অংশ চাষিদের ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হবে। একই ভাবে হাঁস, মুরগি, শুয়োরের পোলট্রির ক্ষেত্রেও আট থেকে আশি লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রসঙ্গ টেনে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চাষিরা ধান বিক্রি করতে এলেই হাতে হাতে চেক দিন। যাতে ফড়েদের খপ্পরে পড়ে চাষিদের অভাবি বিক্রি করতে না হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy