ফাইল চিত্র
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় (টেট) পাশ করেছেন আগেই। সম্পূর্ণ হয়েছে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ বা ডিএলএড-ও। তবু প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগপত্র পাননি রাজ্যের ১২০০ জন কর্মপ্রার্থী। রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন তাঁরা। ওই প্রার্থীদের বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, টেট পাশ করেও প্রশিক্ষণ না-থাকায় যে-সব প্রার্থী নিয়োগপত্র পাননি, পরে তাঁরা শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করলে নিয়োগের কথা ভাবা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তাঁরা চাকরি পাননি বলে প্রার্থীদের অভিযোগ।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণদের বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আস্থা রেখেই তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও নিয়োগপত্র জোটেনি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছেন। তার উপরে করোনা পরিস্থিতি তাঁদের আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লকডাউন পর্বে ঘরে বসে তাঁদের অনেকেই নিয়োগপত্রের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক পেজেও অনুরোধ করেছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর তরফ থেকে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি বলে ওই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। শিক্ষামন্ত্রী শুক্রবার বলেন, ‘‘ওই প্রার্থীদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। তখন প্রশিক্ষণ না-থাকায় নিয়োগ হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের শুরু হলে টেট পাশ প্রার্থীদের কথা ভাবা হবে।’’
শিক্ষা শিবিরের অনেকের বক্তব্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। টেট-জটিলতা তো কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। নিয়োগের নিয়মবিধিতেও জটিলতা রয়েছে। তার ফলেও অনেক প্রার্থীর নিয়োগ আটকে গিয়েছে। সরকারেরই উদ্যোগী হয়ে জটিলতা কাটিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষকপদে নিয়োগ করা উচিত। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, অনেক জটিলতা কেটেছে। বাকি জটও কাটানোর চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy