Advertisement
E-Paper

তিস্তার ঘোলা জলের ঘূর্ণিতে ভেসে আসছে প্রচুর দেহ! বিপর্যয়ে ১৮ জনের মৃত্যু, জানাল নবান্ন

নবান্ন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছ’জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জন সেনা জওয়ান আর বাকি দু’জন সাধারণ মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫১

—নিজস্ব চিত্র।

মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং দক্ষিণ লোনাক লেক উপচে বিপুল জলের স্রোতে বিপর্যস্ত সিকিম। বুধবার গোটা দিন জুড়ে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তিস্তা। নদীর ঘোলা জলের ঘূর্ণিতে এ বার ভেসে আসছে একের পর এক দেহ। নবান্ন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছ’জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জন সেনা জওয়ান আর বাকি দু’জন সাধারণ মানুষ।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে মোট ১৫ জনের দেহ মিলেছে। ময়নাগুড়ি ব্লকে থেকে আটটি দেহ, জলপাইগুড়ি সদর ব্লক থেকে তিনটি, মালবাজার এবং ক্রান্তি ব্লক থেকে দু’টি করে দেহ উদ্ধার হয়েছে। সকলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত মোট ১৫টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এঁদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।’’ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে তিস্তা থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি দেহ।

বুধবারই নবান্ন জানিয়েছিল, বাংলার অন্তত দু’হাজার জন পর্যটক সিকিমে আটকে পড়েছেন। যোগাযোগ করতে না পেরে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল তাঁদের পরিবার। নবান্ন জানিয়েছে, আটকে পড়া পর্যটকদের অনেকেই এ বার ফিরে আসতে শুরু করেছেন। তবে এখনও বাংলার অন্তত ৪৫০ জন পর্যটক লাচেন ও উত্তর সিকিমের প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে রয়েছেন। সেই সব এলাকা এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলপাইগুড়িতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। অন্য দিকে, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও মোতায়েন তিন জেলায়— জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার।

নবান্ন জানিয়েছে, ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোয় দক্ষিণবঙ্গেও বন্যা পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হয়েছে। হাওড়া-হুগলির নদীগুলির জলস্তরও নামতে শুরু করেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সব ক’টি জেলায় সব মিলিয়ে ১৬৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।

Teesta flood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy