ওষুধের বদলে ইনজেকশনে ভরা রয়েছে শুধু জল!
কর্কট রোগ এবং অস্ত্রোপচারের পরে ব্যাক্টিরিয়া সংক্রমণ রোগে ব্যবহৃত দু’টি ইনজেকশনেরগুণমান পরীক্ষায় এমনই রিপোর্ট উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের হাতে। পাশাপাশি, গুণমানযাচাইয়ের পরীক্ষায় দেশ জুড়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে ওই দু’টি ইনজেকশন-সহ আরও ১৮৮টি ওষুধ! তবে ইনজেকশনের ভিতরে ওষুধের উপাদানের বদলে কী ভাবে স্রেফ জল ভরে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে বিস্মিত ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকেরাও।
প্রতি মাসেই দেশের বিভিন্ন খুচরো বাজার থেকে ট্যাবলেট,ইনজেকশন, স্যালাইন-সহ বিভিন্ন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে ড্রাগ কন্ট্রোল। গত মাসে ১৮৮টি ওষুধ ফেল করেছিল। সম্প্রতি পরীক্ষারফলাফল প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল জানিয়েছে, এ বারে অনুত্তীর্ণের সংখ্যা ১৯০। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ফেল করার তালিকায় ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, স্যালাইন, ইনজেকশন কোনও কিছুই বাকি নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নমুনা সংগ্রহের পরে তা কেন্দ্রীয়ড্রাগ কন্ট্রোলের স্থানীয় পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। যেমন কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে ৪০টি ওষুধ।
সামগ্রিক ভাবে দেখা যাচ্ছে, কোনও ক্ষেত্রে ইনজেকশনের ভায়ালে ভাসছে ক্ষতিকারক ব্যাক্টিরিয়া। কোনও ওষুধ আবার নামী সংস্থার ব্র্যান্ড-নেম নকল করে বানানো, কোনও ওষুধ বা ইনজেকশনতৈরিতে পরিশোধিত জলই ব্যবহার করা হয়নি।
জানা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচারের পরে ব্যাক্টিরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে পুণের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওই ইনজেকশনে জল মিলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ওই সংস্থায় কী ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনে শুধু জল ভরা হল, তা নিয়ে বিস্মিত ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকেরাই। কর্কট রোগে ব্যবহৃত ইনজেকশনটি তৈরি চিনে।
গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করার তালিকায় এ বারেও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের নাম। ওই সংস্থার তৈরি সাধারণ স্যালাইন এবং শরীরে জল এবং কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা ঠিক রাখতে ব্যবহৃত ইনজেকশন এ বারেকর্ণাটক ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ। ইনজেকশনটির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ভায়ালে থাকা তরল বিশুদ্ধ নয়। গত মাসে অসমেও ফেল করেছিল ওই সংস্থার ওষুধ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)