বাবুঘাটে সাগরযাত্রীদের শিবিরে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপি-বিরোধী ঐক্যের বড় ছবি দেখা যাবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুক্রবার কলকাতায় উট্রাম ঘাটের এক সভায় তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে ২০ জন বিরোধী নেতা আসবেন বলে জানিয়েছেন। কুমারস্বামী, দেবগৌড়া, ফারুক আবদুল্লা, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নায়ডু, অরবিন্দ কেজরিবাল, তেজস্বী যাদব, যশবন্ত সিন্হা, শত্রুঘ্ন সিংহ, স্ট্যালিন-সহ অনেকেই থাকবেন।’’
অন্য দিকে, তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের আগেই ওই দলের আরও কয়েক জন সাংসদকে ভাঙিয়ে আনার চেষ্টা করছে বিজেপি। এ দিন দিল্লিতে এমনই দাবি করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি নেতারা এখন আরও একধাপ এগিয়ে ভাবছেন। অপর বহিষ্কৃত সাংসদ অনুপম হাজরা এখনও কাগজে-কলমে কোনও দলে যোগ দেননি। আর দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, বিজেপিতে যোগ দিতে আরও অনেক তৃণমূল সাংসদ প্রস্তুত। তাঁরা কারা? সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
এই অবস্থায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বক্তব্য, ‘‘বাংলায় ক্ষমতায় আসতে পুরোপুরি তৈরি বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর জন্যই এখন উন্নয়ন বাংলাতেও পৌঁছেছে।’’
আরও পড়ুন: আয়ুষ্মানের চিঠির খোঁজ নিতে ডাকঘরে গোয়েন্দা
বাংলায় আসন বাড়ানোর জন্য শাহ যখন ‘আত্মবিশ্বাস’ দেখাচ্ছেন, তখন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন শ্যামবাজার মোড়ে ব্রিগেডের প্রস্তুতি সমাবেশে চ্যালেঞ্জ করেন, ‘‘বাংলায় যদি আসতেই চান, তা হলে শাহ বলুন কোন আসনে লড়বেন। তাঁকে হারাতে নেত্রীর মাঠে নামার দরকার নেই। আমি একাই তাঁকে হারানোর দায়িত্ব কাঁধে নিচ্ছি।’’
শ্যামবাজারের এই সমাবেশে অভিষেক মধ্যমণি হলেও মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, একাধিক সাংসদ-বিধায়ক, মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে যাঁদের বরণ করা হয়, তাঁদের মধ্যে একজন সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত এবং তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, অন্য জন রোজভ্যালি-কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy